
নিজস্ব প্রতিবেদক :
পিয়াস মিয়া (১০) পড়তো স্থানীয় কওমি মাদ্রাসায়। মাদ্রাসার পড়ালেখায় অনিয়মিত হয়ে পড়লে তাকে ভর্তি করা হয় গ্রামের বেজগাও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনিতে।
মঙ্গলবার (২৩ মে) পিয়াস প্রথম দিন স্কুলে এসেই বখাটের হামলায় রক্তাক্ত জখম হয়।
আগেরদিন তার ছোট ভাই ফাহিমের সাথে ঝগড়া হয় ওই বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেনির ছাত্র আবু হোরাইরার। এরই জেরে পিয়াসের সাথে কথার কাটাকাটি হাতাহাতি হয় দুইজনের। বিষয়টি আবু হোরাইরা তাঁর চাচাতো ভাই বখাটে মনির হোসেনকে জানালে ক্ষিপ্ত হয় মনির। এক পর্যায়ে মুনিরের ধাওয়া খেয়ে পিয়াস স্কুলের অফিস কক্ষে আশ্রয় নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। শিক্ষকদের সামনে বেধড়ক পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে পিয়াসকে।
পরে তাকে কেন্দুুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পিয়াসের গুরুতর আঘাতে ফলে চারটি সেলাই করতে হয়। আহত পিয়াস মিয়া উপজেলার বলাইশিমুল ইউপির বেজগাও গ্রামের রোকন মিয়ার ছেলে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আসমা আক্তার জানান,পিয়াস আমাদের নতুন ছাত্র। মঙ্গলবার দিন সে প্রথম স্কুলে আসছিল। আমাদের সামনেই তাকে নির্মমভাবে মেরে রক্তাক্ত করেছে মনির হোসেন । পিয়াসের মাথায় চারটি সেলাই লেগেছে। শরীরের বিভিন্ন স্থানেও আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। আমরা এঘটনার তীব্র নিন্দা ও দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।
এব্যাপারে কেন্দুুয়া থানার ওসি আলী হোসেন জানান, এবিষয়ে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত সহায়তা করা হবে।