বহু প্রতিষ্ঠানের জমিদাতা আব্দুল মান্নান
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
নেত্রকোণার বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমিদাতা ও প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আব্দুল মান্নান। স্থানীয় মানুষের কাছে একজন নিবেদিত প্রাণ ও সজ্জন ব্যক্তি হিসেবে এই মানুষটি জেলার বারহাট্টা উপজেলার গুমোরিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। নিজ এলাকার উন্নয়নে তার ব্যাপক অবদান রয়েছে। তার উদ্যোগে অনেক স্কুল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপিত হয়েছিল।
শৈশবকাল থেকেই নিজ এলাকার শিক্ষা ও উন্নয়ন নিয়ে ভাবুক এই ব্যক্তি কর্মজীবনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সদস্য ছিলেন। চাকরিতে যোগদানের পর এলাকার শিক্ষা বিস্তারে ও শিক্ষিত জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠা করে চলেছেন একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। নিজ গ্রাম গুমুরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জন্য দিয়েছেন চল্লিশ শতক জমি। বর্তমানে সেখানে দুই শতাধিক শিশু শিক্ষা গ্রহণ করছে। শিক্ষক রয়েছে ৬ জন।
এছাড়াও তিনি গড়ে তুলেছেন একের পর এক মসজিদ, মাদ্রাসা, মহিলা কলেজ, পাবলিক স্কুলসহ বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। জমি দান করেছেন সব প্রতিষ্ঠানে।
১৯৮৯ সালে যোগদান করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। পরে তিনি সার্জেন্ট হিসেবে পদোন্নতি পান। এরপর থেকেই এলাকা উন্নয়ন ও শিক্ষার প্রসারে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।
অবসরে আসার পর শিক্ষাকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি ভূমি দান এবং সহযোগী হিসাবপ মনসুর আহমেদ মহিলা কলেজ এবং প্রতিষ্ঠিত করেন পাবলিক স্কুল, ভুমি দান করেন । বর্তমানে দুটি প্রতিষ্ঠানই আলোকিত করেছে এলাকা।
আব্দুল মান্নান বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভুমি দাতা হিসেবে এলাকায় ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন। নিজের স্বার্থকে বিলিয়ে দিয়ে এলাকার মানুষকে শিক্ষিত করার স্বপ্ন দেখেই এগিয়ে চলছেন তিনি।
আব্দুল মান্নান এর বাবা ছিলেন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা ইব্রাহিম আহমেদ। তিনিও প্রতিষ্ঠা করে গেছেন মাদ্রাসা, মসজিদ। বর্তমানে তার প্রতিষ্ঠা করা প্রত্যেকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই ব্যাপক সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে।
আব্দুল মান্নান বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করে ভবিষ্যৎ জাতিকে এগিয়ে নেওয়ার অংশ হিসেবে এলাকার শিক্ষিত এবং সমাজ সচেতন মানুষদের নিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এলাকাবাসী ও আমাকে সার্বিক সহযোগিতা করছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠার কারণেই বারহাট্টর গুমরিয়া গ্রাম এলাকায় একটি প্রতিষ্ঠিত নাম হিসেবে পরিচিত হয়েছে।