
বিশেষ প্রতিবেদক :
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলা বিএনপি অফিসে আওয়ামী লীগের হামলাও সংঘর্ষের সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও অবিস্ফোরিত ককটেল ও পাথর জব্দ করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ২৮ নভেম্বর বারহাট্টা থানার এসআই মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১১২ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১৫০ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে বারহাট্টা থানায় রোববার মামলা করেন। পুলিশ বারহাট্টা সদর উপজেলা বিএনপি নেতা মনোয়ার হোসেন মনুকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, জেলার বারহাট্টায় শনিবার উপজেলা কৃষকদল দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশ করছিল। অন্যদিকে একইদিন উপজেলা আওয়ামী লীগ তাদের অফিসে কর্মী সমাবেশের আয়োজন করে। এক পর্যায়ে বিএনপি অফিসের সামনে দিয়ে আওয়ামী লীগ মিছিল করে যাওয়ার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণও হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নেয় এবং ওই স্থান থেকে ৫টি অবিস্ফোরিত ককটেল ও আধাবস্থা রেললাইনের পাথর জব্দ করে।
বারহাট্টা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রহমত আলী বলেন, আমাদের কর্মসূচি চলাকালে আওয়ামী লীগের লোকজন হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। উল্টো আমাদের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে হয়রানী করা হচ্ছে।
বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খায়রুল কবির খোকন বলেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার পায়তারা করছে। আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা তা প্রতিরোধ করেছে।
বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফুল হক বলেন, বিএনপির ১শ ১২জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।