বারহাট্টায় সাহতা ইউনিয়নের ভিজিএফের জাল জব্দ

প্রকাশিত: ৭:৩৪ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৫

লতিবুর রহমান খানঃ
নেত্রকোনার বারহাট্টায় দুস্থ ও গরিব মানুষের জন্য বরাদ্দকৃত ভিজিএফের চাল পাচারের সময় প্রায় ২ টন চাল জব্দ করেছে প্রশাসন।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খবিরুল আহসানের নির্দেশে উপজেলার সাহতা ইউনিয়নে বারহাট্টা থানা পুলিশ এই অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানের সময় চাল ও হেনট্রলি চালক ব্যতীত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। চাল প্রচারের ঘটনার সাহতা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ গিয়াস উদ্দিন মেম্বার জড়িত বলে দাবী এলাকাবাসীর।

সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে গরিব ও দুস্থদের মধ্যে বিতরণের লক্ষ্যে সাহতা ইউনিয়নের জন্য প্রায় ৪২ টন চাল বরাদ্দ করা হয়। এই পরিমাণ চাল ৪ হাজার ১ শ ৯২ জন দুস্থ মানুষের মধ্যে বিতরণের কথা ছিল।

সোমবার সকাল ৮ টা থেকে বিকাল পর্যন্ত বিতরণ দেখানো হয়। আজ সকালে চাল পাচারের সময় এলাকাবাসী টের পেয়ে ইউএনওকে ফোন করেন। তিনি তাৎক্ষণিক পুলিশকে ঘটনাস্থলে পাঠালে ২ টন চাল ও হেনট্রলি জব্দ করা হয়।

এ ঘটনার পর ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার গিয়াস উদ্দিন ও বড়গাওয়ার চাল ব্যবসায়ী ফুল মিয়া পলাতক রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলায় সাহতা ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান চঞ্চল কারাগারে গেলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলামকে প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এলাকাবাসীর অভিযোগ সাহতা ইউনিয়নে ঈদ উপলক্ষে দুস্থ ও গরিব মানুষের মধ্যে বরাদ্দ করা বিশেষ ভিজিএফ চালের তালিকা প্রণয়নে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। যাদের চালের কার্ড দেওয়া হয়েছে, তারা অধিকাংশই সচ্ছল।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সাহতা ইউনিয়নের প্রশাসক ডাঃ মোঃ সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা। তবে আপনারা সাংবাদিকরা কিছু জানতে পারলে আমাকে জানাইয়েন।

বারহাট্টা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ কামরুল হাসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি দুই মিনিট পরে কথা বলতেছি বলে পরে আর ফোন রিসিভ করেননি। বিষয়টি সম্পর্কে জানতে বারহাট্টা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ খবিরুল আহসানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান চাল পাচারের বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।