বারহাট্টায় হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
লতিবুর রহমান খানঃ
নেত্রকোনার বারহাট্টায় হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদকে (১৪) মারধোর ও প্রধান শিক্ষক মোঃ জুলফিকার হায়দার মামুনকে হত্যার হুমকীর প্রতিবাদে একই বিদ্যালয়ের উশৃঙ্খল ও বখাটে শিক্ষার্থী তোফায়েল হোসেন তানিম (১৬) কে বিদ্যালয় থেকে বহিস্কার ও শাস্তির আওতায় আনার দাবীতে এ মানববন্ধন অনুষ্টিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ বকুল, হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ জুলফিকার হায়দার মামুন, সহকারি শিক্ষক শিহাব উদ্দিন, ছাত্র অভিভাবক আঃ খালেক, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী রিয়াদ প্রমুখ।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, তোফায়েল হোসেন তানিম (১৬) ৯ম শ্রেণী শিক্ষার্থী। সে অত্যন্ত উশৃঙ্খল ও ঝগড়াটে। প্রায়ই অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে ঝগড়া বিবাদে লিপ্ত থাকে।
১৬-০৮-২০২৩ ইং তারিখ সুসং ধোবাহালা গ্রামের আঃ রেজ্জাকের ছেলে ও হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র রিয়াদ মিয়া (১৪) গ্রামের চোরকে ছিনিয়া দেওয়ারকে কেন্দ্র করিয়া হারুরিয়া গ্রামের কামরুল ইসলামের ছেলে ও হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণির ছাত্র তোফায়েল হোসেন তানিম বিদ্যালয়ের বারান্দায় এসে রিয়াদ মিয়াকে অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়।
খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ঘটনাস্থল এসে রিয়াদ মিয়াকে তোফায়েল হোসেন তানিম এর হামলা থেকে উদ্ধার করে। ঐ দিন বিকালে এ ঘটনাকে কেন্দ্র করিয়া তোফায়েল হোসেন তানিম চাইনিজ স্প্রিং এর চাকু হাতে নিয়ে পুনরায় বিদ্যালয়ে প্রবেশ করিয়া রিয়াদ মিয়া কে পুনরায় হামলা করার জন্য ঘুরাফেরা করতে থাকে।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার হায়দার মামুন চাইনিজ স্প্রিং এর চাকু নিয়ে ঘুরাফেরার কারণ জানতে চাইলে সে প্রধান শিক্ষকের সাথে উত্তেজিত হয়ে কথা-বার্তা বলতে থাকে।
পরিশেষে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার হায়দার মামুনকে হত্যা করার হুমকী দিয়ে সে বিদ্যালয় ত্যাগ করে।
বারহাট্টা থানার ওসি খোকন কুমার সাহা জানান, এ বিষয়ে হারুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের নিকট থেকে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।