বাল্য বিয়ে ও জঙ্গিবাদকে লাল কার্ড দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের শপথ
নেজা ডেস্ক রিপোর্টঃ
নেত্রকোনায় মাদক ও বাল্য বিয়েকে লাল কার্ড দেখিয়ে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী উন্নত চরিত্র গঠনের শপথ নিয়েছেন।
বুধবার (২৩ আগস্ট) বেলা ১১টায় নেত্রকোনা সদর উপজেলার মদনপুর শাহ্ সুলতান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের আয়োজনে জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ সভা ও শিক্ষার্থীদের উন্নত চরিত্র গঠনে শপথ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ শিবলী সাদিক, নেত্রকোনা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমানসহ লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীরা মাদক, বাল্য বিয়ে, ইভটিজিং, ধর্ষণ ও জঙ্গিবাদের মতো সমস্যার সম্মুখীন হন তাহলে কিভাবে রোধ করবেন তা প্রশ্ন করেন। একে একে সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ শিবলী সাদিক সমস্যা সমাধানে শিক্ষার্থীদের সকল প্রশ্নের জবাব দেন।
পরে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাজিম উদ্দিন ফকিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দেন সদর সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহ্ শিবলী সাদিক।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন নেত্রকোণা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবুর রহমান, মদনপুর ইউনিউয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ডা. মতিউর রহমান ফকির, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফুর রহমান ফকির, লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল।
অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিং, বাল্য বিয়ে, দুর্নীতিকে না বলে লাল কার্ড প্রদর্শন করেন এবং সত্যবাদিতা, দেশপ্রেম ও মানবতাকে সবুজ কার্ড প্রদর্শন করে শপথ নেন।
নিয়মিত পড়াশুনা করে নিজেকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে, সবসময় সত্য কথা বলতে, কখনও মাদক সেবন না করতে, ছেলেরা ২১ ও মেয়েরা ১৮ বছর বয়সের আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হতে শিক্ষার্থীদের শপথ করান সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম সোহেল।
দেশব্যাপী শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা ও দেশপ্রেম সৃষ্টি করার বিষয়ে কাজ করা সংগঠন লাল সবুজ উন্নয়ন সংঘের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় সভাপতি কাওসার আলম জানান, গত ১২ বছর তিনি নিজের টাকা জমিয়ে সারাদেশে শিক্ষার্থীদের সচেতন করে যাচ্ছেন। এভাবে প্রায় ৩৯ লাখ শিক্ষার্থীকে সচেতন করেছেন।