মজিবুর রহমান :
হোসাইন আহম্মাদ। তিনি কেন্দুুয়া উপজেলার শতবর্ষী সান্দিকোনা স্কুল এন্ড কলেজে প্রভাষক । গন্ডা ইউপির মরিচপুর গ্রামের রুহুল আমীনের ছেলে তিনি। গত ২০১৮ সালে ১৮ ডিসেম্বর কালিয়ান মৌজায় ৮ লাখ ১০ হাজার টাকায় ক্রয়কৃত জমি রেজিষ্ট্রিকরণ, নকল কপি সংগ্রহ ও জমাখারিজ জন্য ৮০ হাজার টাকা নেয় দলিল লেখক সহকারী বাদল মিয়া ও দলিল লেখক স্বপন সরকার। বাদল মিয়া মরিচপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে আর স্বপন সরকার সনদ নং ৫২৫।
টাকা নেওয়ার সময় ষ্টাম্পে ছবি লাগিয়ে ভুক্তভোগীদের স্বাক্ষর নেয় তারা। এবং ২০ ডিসেম্বর রেজিষ্ট্রিকরণ সম্পন্ন হয়। পরে তার কাছে দলিলের নকল কপি চাইলে দেই দিচ্ছি করে সময়ক্ষেপণ করতে থাকেন। একপর্যায়ে নিজ খরচে দলিলটির নকল তুলে দেখতে পান জমির মূল্য মাত্র ২৯ হাজার টাকা লিপিবদ্ধ করা হয়। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে বাদল গংরা ভূল হয়েছে স্বীকার করে অতিরিক্ত টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দেন। টাকার জন্য চাপ দেয়ায় বাদল মিয়া দলিলের দাতার ভাইকে দিয়ে প্রিয়েমশান মামলা করায় সে।
এতে ওই ভুক্তভোগী শিক্ষক ১০ লাখ টাকা মতো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন জায়গায় লিখিত অভিযোগে বলেন। সর্বশেষ গত ১৯ আগষ্ট টাকা দেওয়ার দিন ধার্য্য ছিল। কিন্তু ওই দিন টাকা না দিয়ে সে আত্মগোপন চলে যায় দাবী ভুক্তভোগীর।
এবিষয়ে জানতে চাইলে দলিল লেখক স্বপন সরকার জানান,বাদল মিয়া তার সহকারী ছিল। সে এখন আর আমার সাথে কাজ করে না। সে কত টাকা নিয়েছিল এই বিষয়টি তার জানা নেই। তাছাড়া ৫ বছর আগের দলিল করছি এখন কি আর মনে আছে? এমন প্রশ্নও প্রতিবেদকের কাছে রাখেন দলিল লেখক। এদিকে বাদল মিয়ার মুটোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও কথা বলা যায়নি।
অভিযোগ পাওয়া কথা স্বীকার করে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান বলেন, বাদল মিয়া তো আমাদের সমিতির সদস্য না। এবং সে এখন কাজও করে না। বিষয়টি সামাজিক ভাবে মিটমাটের জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ভুক্তভোগী হোসাইন আহম্মাদ জানান, বাদল আমার প্রতিবেশি। জমি কেনার পর সে দলিলটি করার জন্য কাকুতি মিনতি করায় আমি সরল বিশ্বাসে সে ৮০ হাজার টাকা আমিও তার কথামত টাকা দেই। সে আমার সাথে প্রতারণা করেছে। তাদের ছলচাতুরী জন্য আজ ১০ লাখ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তিনি । জমি রেজিষ্ট্রি করতে অতিরিক্ত যে টাকা নিয়েছিল সেই টাকাটার জন্য দেন-দরবারে কয়েকবার দেওয়ার আশ্বাস দিয়েও দিচ্ছে না বলেও জানান তিনি।