বেগম খালেদা জিয়া ও পুত্রবধূ’র আগমনকে স্বাগতম জানাতে প্রস্তুত ড. রফিক হিলালী

প্রকাশিত: ৯:১৮ অপরাহ্ণ, মে ৫, ২০২৫

মজিবুর রহমান :
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ চার মাস চিকিৎসা শেষে ও পুত্রবধূ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমান প্রায় দীর্ঘ ১৭ বছর লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে আগামীকাল দেশে ফিরছেন।

তাদের এই প্রত্যাবর্তনে সারাদেশেই দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে উচ্ছ্বাস ও ব্যাপক উদ্দীপনা। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে চলছে বরণ করার প্রস্তুতি।

বিএনপি’র কেন্দ্রীয় জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও নেত্রকোনা-৩ (কেন্দুয়া-আটপাড়া) আসন থেকে বারবার ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পাওয়া আলহাজ্ব ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী তাঁর নির্বাচনী এলাকার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ইতোমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করেছেন।

কেন্দুয়া ও আটপাড়ার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা ব্যানার, ফেস্টুন ও ঢাকঢোল নিয়ে অংশগ্রহণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও বিষয়টি ঘিরে ব্যাপক আলোচনা ও উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।

ডক্টর রফিকুল ইসলাম হিলালী বলেন, “আপোষহীন নেত্রী আমাদের প্রাণ বেগম জিয়া ও তাঁর পুত্রবধূর আগমন শুধু একটি পারিবারিক ঘটনা নয়—এটি জাতীয়তাবাদী শক্তির জন্য এক নতুন প্রেরণা। আমাদের নেতাকর্মীরা মুখিয়ে আছে তাঁদেরকে বরণ করার জন্য। বিমানবন্দর থেকে বাসা পর্যন্ত পৌঁছা পর্যন্ত ইতিমধ্যে দলীয় ভাবে বরণের রোডম্যাপ সকল প্রস্তুতিই গ্রহণ করা হয়েছে দলীয় ভাবে। আমার নির্বাচনী এলাকাসহ নেত্রকোনার নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা বিমানবন্দরের গোল চত্বর এলাকায়
সম্মিলিতভাবে থাকবো।

দুর্দিনের কাণ্ডারি সাবেক এই ছাত্রনেতা রফিক হিলালী আরও জানান, “দলের দুঃসময়ে আমরা যে ঐক্যবদ্ধ, এই উপস্থিতি সেটারই প্রতীক হবে। নেতাকর্মীদের মধ্যে এখন নতুন প্রাণচাঞ্চল্য কাজ করছে, এই বার্তা পৌঁছে যাবে সারা দেশে।”

উল্লেখ্য, চিকিৎসার প্রয়োজনে গত চার মাস পূর্বে যুক্তরাজ্যে যান বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র চেয়ারপার্সন কারানির্যাতি বেগম খালেদা জিয়া এবং গত ওয়ান ইলেভেনের সময় স্বামীর সাথে নির্বাসিত হন ডা: জোবায়দা রহমান। তাঁদের এই আগমনকে কেন্দ্র করে আবারও বিএনপির রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।