
লতিবুর রহমান খান:
নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলাকে শতভাগ গৃহহীন ও ভূমিহীন “ক” শ্রেণি মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০.৩০টায় গণভবন প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে ৩৯ হাজার ৩৬৫ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন করেন।
এ সময় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন। এর মধ্যে বারহাট্টা উপজেলায় ৬০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে।
এর আগে মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকার সারা দেশে ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে মোট ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে জমি ও গৃহ প্রদান করেছে।
এ নিয়ে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশে ১ম, ২য়, ৩য় ও ৪র্থ পর্যায়ে সর্বমোট ২ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৪ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। এর অংশ হিসেবে বারহাট্টা উপজেলায় ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায়ে ১৬৫ জন এবং ৪র্থ পর্যায়ে ১৫ জন সর্বমোট ১৮০ জন ভূমিহীন ও গৃহহীনকে জমি ও গৃহ প্রদান করা হয়েছে। এর ফলে বারহাট্টা উপজেলা শতভাগ গৃহহীন ও ভ‚মিহীন মুক্ত হয়েছে।
সকাল ১০.৩০ টায় বারহাট্টা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের অস্থায়ী মিলনায়তনে বড় পর্দায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪র্থ পর্যায়ে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠান প্রদর্শন এবং গণভবনের সাথে সংযুক্ত হয়ে উপকারভোগীদের মাঝে কবুলিয়ত হস্তান্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এম. মাজহারুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান মাইনুল হক কাসেম। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) অনিমেষ সোম। অন্যান্যের মধ্যে সহকারি কমিশনার (ভূমি) সানজিদা চৌধুরী, মেডিকেল অফিসার, রাব্বী, উপজেলা প্রকৌশলী অমিত চন্দ্র দে, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লতিফুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর আক্তার সায়লা, বারহাট্টা থানার এসআই নবী হোসেন, অবসর প্রাপ্ত ডিএডি বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর উদ্দিন, সাংবাদিক লতিবুর রহমান খান বক্তব্য রাখেন।
এছাড়াও আসমা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, বাউসী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামছুল ইসলাম, চিরাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ সাইদুর রহমানসহ, মুক্তিযোদ্ধা, গণমাধ্যম কর্মী, সুশীল সমাজ, শিক্ষক ও উপকারভোগী পরিবারের সদস্যরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জমির দলিল ও চাবি হাতে পেয়ে উপকারভোগী মঞ্জুরা, সর্জিনা, রোকেয়া হাসি খুশিতে তাদের অভিমত ব্যক্ত করে বলেন, ঘর পাওয়ার আগে আমরা অন্যের বাড়ীতে থাকতাম। আমরা মনে মনে ভাবতাম মৃত্যুর আগে আমাদের নিজের কোন ঘর হবে না। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের মনের আশা পূরণ করেছেন। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জীবনের সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করি।