
জাকির আহমেদ:
নেত্রকোণার মদন উপজেলার খাগুরিয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য আল্লাদ মিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের দুইটি গাছ কেটে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গাছ কাটার প্রতিবাদ করায় সোমবার বিকেলে স্কুল প্রাঙ্গনে বিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি মস্তু আহাম্মদকে মারধর ও প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে লাঞ্ছিত করে প্রাণ নাশের হুমকি দেন আল্লাদ মিয়া। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান সোমবার মদন থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
লিখিত অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার খাগুরিয়া পূর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৩৩ শতাংশ ভূমি রয়েছে। এর মধ্যে ওই এলাকার জাবেদ আলী এক শতাংশ ভূমি বিদ্যালয়ে দান করেন। সেই সুবাধে তার ছেলে আল্লাদ মিয়া বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হন। গত শনিবার (বিদ্যালয় বন্ধ থাকা অবস্থায়) বিদ্যালয়ের আঙ্গিনার একটি কদম গাছ ও একটি বনজ গাছ কেটে নেন আল্লাদ মিয়া।
রোববার শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে গিয়ে গাছ কাটার বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয় লোকজনসহ শিক্ষা কর্মকর্তাকে অবগত করেন। গাছ কেটে নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষকের ওপর ক্ষিপ্ত হয় আল্লাদ মিয়া। এর প্রতিবাদ করায় সোমবার বিকেলে বিদ্যালয়ের আঙ্গিনায় আল্লাদ মিয়া তার লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ের সহ-সভাপতি মন্তু আহাম্মদকে মারধর করে। পরে প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত করে মারধর করতে চাইলে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে তালাবদ্ধ করে রক্ষা করেন।
এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান আল্লাদ মিয়াসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বিদ্যালয় কমিটির সহ-সভাপতি ভুক্তভোগী মন্তু আহাম্মদ জানান,‘ আল্লাদ মিয়া বিদ্যালয়ের গাছ কেটে নিয়েছে। এ নিয়ে প্রধান শিক্ষকের সাথে তর্কবিতর্ক করে বিদ্যালয়ে তালা দিবে শুনে আমি এগিয়ে যাই। তখন আমাকে মারপিট শুরু করে।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির দাতা সদস্য অভিযুক্ত আল্লাদ মিয়া বলেন, গাছগুলো আমি রোপন করে ছিলাম তাই আমি কেটে নিয়েছি। এ বিষয়ে বিদ্যালয়ে কথার কাটাকাটি হলে সহ-সভাপতি মস্তুকে আমার লোকজন ঠেলাধাক্কা দিয়েছে। আমি মারধর করিনি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল হোসেন জানান, বিষয়টি আমি শুনেছি। প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য।
মদন থানার ওসি মোহাম্মদ তাওহীদুর রহমান জানান, বিদ্যালয়ের গাছ কাটা ও মারধর করার একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।