জাকির আহমেদ:
আওয়ামী লীগ মেম্বারের কারসাজিতে প্রকৃত হতদরিদ্রদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করে চাল পেল প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। এমনই এক অভিযোগ পাওয়ায় গেছে মদন সদর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য লিটন মিয়ার বিরুদ্ধে।

এ বিষয়ে রোববার (২৩শে মার্চ) উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন সালেক ও হুমায়ুন কবির নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তি।

তবে অভিযোগের বিষয়ে ইউপি মেম্বার লিটন মিয়া জানান, আমি আওয়ামী লীগ করি এটাই আমার অপরাধ। তাছাড়া সালেক ও হুমায়ুন কেন আমার বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন এ বিষয়টি তাদের নিকট জেনে নেন।

হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে মৃত ও প্রভাবশালীদের নামের তালিকা দিয়ে চাল বিতরণ করেছেন এমন অভিযোগের বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, লিটন মিয়া ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। লিটন মিয়া ব্যক্তিগত ক্ষমতার অপব্যবহার করে বতর্মান অন্তবর্তি সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য পবিত্র ঈদুল-ফিতরের হতদরিদ্রদের বঞ্চিত করে প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে মৃতদের নাম দিয়ে ভিজিএফ এর ১০ কেজি করে একাধিক ব্যক্তির চাউল আত্মসাৎ করেছেন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার সরজমিনে এলাকায় গেলে, মৃত মো: আক্কাছ ও মৃত মো: আলম মিয়াসহ একাধিক ব্যক্তির নামে চাল বিতরণ হয়েছে বলে সত্যতা মিলে। লিটন মেম্বার ও তার স্ত্রী সাহেরা আক্তারের নামও রয়েছে এ তালিকায়।

এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ডের মৃত আলম মিয়ার ছেলে শামীম মিয়া জানান, আমার বাবা গত ১০/১২ বছর হল মারা গেছেন। এ চাল আমার পরিবার নেয়ার কোন প্রশ্নই উঠে না।

এ বিষয়ে মদন সদর ইউনিয়েন প্রশাসক ইমরান হাবিব জানান, ইউপি মেম্বারদের তালিকার ভিত্তিতে আমি চাল বিতরণ কার্যক্রম করেছি। তবে এখন একটি অভিযোগ এসেছে ইউপি মেম্বার লিটন মৃতদের নামের তালিকা দিয়ে চাল উত্তোলণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলব।

ইউএনও অহনা জিন্নাতকে বার বার ফোন করার পরও ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।