মদনে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অপহরণ
জাকির আহমেদঃ
নেত্রকোনার মদনে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রী অপহরণ হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার বিকালে মেয়েটির চাচা মদন থানায় এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। উপজেলার বাঁশরী কোনাপাড়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা যায, বাঁশরী কোনা পাড়ার সপ্তম শ্রেণির মাদ্রাসা পড়ুয়া এক ছাত্রী রাত আনুমানিক ৯ ঘটিকার দিকে প্রাকৃতিক ডাকে বাড়ীর পেছনে টয়লেট করতে যায়। একই গ্রামের উছেন মিয়ার বকাটে ছেলে আনোয়ার আগে থেকেই উৎপেতে থেকে মেয়েটির মুখ চেপে ধরে ধরে বাড়িতে নিয়ে যায়। এ সময় মেয়েটি ডাক চিৎকার দিতে পারেনি। মেযেটি টয়লেট থেকে আসতে দেরি হওয়ায় পরিবারের লোকজন পাশের বাড়ির কয়েকটি বসত ঘরে যায়। কোন বসত ঘরে না পেয়ে দিক বেধিক পরিবারের লোকজন ছুটতে থাকে। কিছুণ পর মেয়েটির মায়ে ফোনে একটি ফোন কল আসে। মেয়েটির মা চট্রগ্রামের গার্মেন্টসে কাজ করেন তাকে বকাটে ফোন করে জানায় আপনার মেয়েকে আমি তুলে নিয়ে এসেছি। কি করবেন করেন? এমন খবর পেয়ে মেয়েটির পরিবারের লোকজন গ্রামের কয়েকজন মাতাব্বরকে নিয়ে বকাটে আনোয়ারের বাড়িতে যায়। সেখানে গিয়ে মেয়েটিকে পায়নি। এ সময় আনোয়ারের পরিবার মেয়েটি আসছে কিনা কোন সহযোগিতা করেনি। পরে নিরুপায় হয়ে বিষয়টি থানায় অবগত করলে মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। অবশেষে বাধ্য হয়ে মেয়েটির চাচা থানায় একটি একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন।
এমন সংবাদের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার বিকালে মেয়েটির বাড়িতে গেলে তার নানী,ফুফু ও খালাকে পাওয়া যায়।
মেয়েটির নানী জানান, গত কয়েক মাস ধরেই বকাটে আনোয়ার কয়েক জনকে নিযে আমার নাতি মাদ্রায় আসা যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় আমার নাতিকে আনোয়ার কুপ্রস্তাব দিত। এই বিষয়টি আমি নিজে গিয়ে আনোয়ারের পরিবারকে জানাই। তারা শক্তিশালী থাকায় উল্টো আমাদেরকে ভয়ভীতি দেখায়। গতকাল সোমবার রাতে আমি তারাবির নামাজ আদায় করতে বসি। এ সময় আমার নাতি বাথরুমে যায়। আসতে দেরি হচ্ছে তাই আমরা কয়েকটি পাশের ঘর দেখি। কোথাও পাই না। আমরা ঘরে বসে কান্নাকাটি করছিলাম। কিছুক্ষণ পর আমার মেয়ে চট্রগ্রাম থেকে জানা যায় আমার নাতিকে আনোয়ার নিয়ে গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে গ্রামের কয়েকজনকে নিয়ে তাদের বাড়িতে যাই। এ সময় তারা বলে তাদের বাড়িতে আমার নাতি নেই। আমার নাতি আমার নিকট থেকেই মাদ্রাসায় পড়াশোনা করত। আমরা গরীব মানুষ আমার নাতির বাবাও নেই। আমার মেয়েটি চট্রগ্রামে কাজ করে। আমি থাকে কি জবাব দেব? আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মদন থানার ওসি নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান জানান, এ ব্যাপারে একটি অভিযোগ পেয়েটি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।