মদনে সুপারের বিরুদ্ধে গাছ কর্তন ও প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ

প্রকাশিত: ৬:৫৫ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২১, ২০২৫

জাকির আহমেদঃ
নেত্রকোনার মদনে গাছ ও টি আর প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে এক মাদ্রাসার সুপারের বিরুদ্ধে। উপজেলার বাস্তা দাখিল মাদ্রাসার সুপার (ভারপ্রাপ্ত) আহাসান উল্লাহ বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে।

জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত সুপার আহসান উল্লাহ ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে টি আর প্রকল্পের আওতায় ১ লাখ টাকা বরাদ্দ পায়। সুপার নিজ ক্ষমতা বলে ১৫/১৬ হাজার টাকা মাটি মাদ্রাসার ভাউন্ডারিতে মাঠ ভরাট করে,মাদ্রাসার অজুখানায় ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয় করে সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠে সুপার আহাসান উল্লাহ বিরুদ্ধে।

মাদ্রাসা ভাউন্ডারিতে মাটি কাটার নাম করে উপজেলা পরিষদের কোন অনুমতি না নিয়ে, এমনকি মাদ্রাসায় কোন ধরণের রেজুলেশন না করে মনগড়াভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কর্তন করে বিক্রি করেছেন সুপার আহসান উল্লাহ। এ নিয়ে মাদ্রাসা কমিটি ও অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।

এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার মাদ্রাসায় গেলে, মাদ্রাসার ভাউন্ডারিতে ১৫/১৬ হাজার টাকার মাটি ভরাট, অজু খানায় পূর্বের কাজে ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে বলে উপস্থিত এলাকাবাসী জানান।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন শিক্ষক জানান, সুপার দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিজ ক্ষমতা বলে এসব কাজ করে আসছেন। মাদ্রাসা উন্নয়নে কি কাজ করতে হবে তাও তিনি শিক্ষকদের নিকট পরামর্শ করেন না। মাদ্রাসায় কত টাকা বরাদ্দ পেয়েছে তাও আমরা জানি না। তিনি মাদ্রাসার এত গুলো গাছ কেন কেটেছেন ? কি জন্য কেটেছেন কোন রেজুলেশন কিংবা সরকারি কোন অনুমতি আছে কি না তাও জানি না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

মাদ্রাসাটির ভারপ্রাপ্ত সুপার আহসান উল্লাহ বলেন, মাদ্রাসার আঙ্গিনায় কিছু আগাছা ছিল তা পরিষ্কার করেছি। সরকারি নীতিমালা মেনে গাছ কর্তন করেছেন কি না এ ব্যাপারে সুদুত্তর দিতে পারেননি। তবে টি আর প্রকল্পের ১ লাখ টাকায় মধ্যে ২৫/২৬ হাজার টাকা কাজ করে বাকি টাকা আত্মাসাৎ করেছেন এমন প্রশ্নের জবাবে বলেন, ভাই আমি আপনাদের সাথে দেখা করব।

মাদ্রাসার সভাপতি মোঃ কেশব মিয়া জানান, সুপার মাদ্রাসার যে গাছ কেটেছে তা আমার জানা নেই, এখন শুনেছি। তা ছাড়া ১ লাখ টাকার বরাদ্দ পেয়ে যে কাজ করা হয়েছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। তিনি আরও বলেন, একজন ভুল করলেত সমাধান করতেই হবে। কিভাবে সমাধান করা যায় এ নিয়ে আলাপ আলোচনা হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শফিকুল বারী জানান, গাছ কাটার বিষয়টি এখন আমি শুনেছি। তবে এ বিষয়ে সুপার আমার নিকট লিখিতভাবে কোন আবেদন করেনি। তাই সুপারকে এ ব্যাপারে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান জানান, বাস্তা দাখিল মাদ্রাসায় সুপার গাছ কর্তন করেছে এ বিষয়ে একজন আমাকে অবগত করেছে। বন বিভাগের অনুমতি না নিয়ে যদি গাছ কর্তন করে থাকে তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া টি আর প্রকল্পের কাজে যদি অর্থ আত্মসাৎ করার সত্যতা পাওয়া যায় এ বিষয়েও ব্যবস্থা নেয়া হবে।