জাকির আহমেদ:
নেত্রকোণা মদন স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের জমি দখল করে বহুলতল ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে।
নেত্রকোণার মদনে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের জমি দখল করে বহুতল ভবন নির্মাণ করে গড়েছে মার্কেট, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ফার্মেসী। কিন্তু অদৃশ্য কারণে নিরব হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, জাহাঙ্গীরপুর মৌজায় ০৬ নং খতিয়ানে ৫৪৮ ও ৫৪৭ দাগে ২ একর ৮৬ শতাংশ জমি রয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের । ৫৪৮ দাগের ২ একর ৭০ শতাংশ জমির মধ্যে বাউন্ডারি করে নির্মাণ করা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কোয়ার্টার। বাকী ৫৪৭ দাগের ১৬ শতাংশ জমি স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যাক্তি তোতা মিয়াসহ আরও কয়েকজন দখল করে বহুতল একাধিক ভবন নির্মান করে। একটি ভবনে তোতা মিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ফার্মেসী ও মার্কেট করেছেন।
মঙ্গলবার সরজমিন গেলে , ৫৩৩ দাগে জমি ক্রয় করে পাশে থাকা ৫৪৭ দাগের হাসপাতালের জমি প্রভাব খাটিয়ে দখল নিয়ে গড়েছেন একিিধক ভবন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উক্ত ভূমির ১৪২৮-২৯ বাংলা সন পর্যন্ত খাজনা পরিশোধ করে। কিন্তু পরবর্তিতে অনলাইন খাজনা পরিশোধের জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বারবার চিঠি দেওয়া হলেও অদৃশ্য কারনে খাজনা পরিশোধ করছে না। ভূমি অফিস সর্বশেষ ৬ মে ২০২৪ ইং তারিখে খাজনা পরিশোধের জন্য চিঠি প্রেরণ করে।
তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অদৃশ্য কারণে এ বিষয়ে একেবারেই নিরব ভুমিকা পালন করছেন। প্রভাবশালীদের দখলে যাওয়া জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৮-১০ কোটি টাকা।
স্থানীয় বাসিন্দা সারোয়ার জাহান মুকুল জানান, স্বাস্থ্য ও প: প: কর্মকর্তা ফকরুল হাসান টিপুর দায়িত্বকালীন সময়ে হাসপাতালের ভূমি নির্ধারণ করার জন্য উপজেলা ভূমি অফিসে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে এ্যাসিলেন্ড মহোদয়ের উপস্থিতিতে সার্ভেয়ার হাসপাতালের জমি মেপে নির্ধারণ করেন। ৫৪৭ দাগের ১৬ শতাংশ জমি তোতা মিয়ার ভবনসহ হাসপাতালের নির্ধারিত হয়। তবে অদৃশ্য কারনে বিষয়টি আর আলোর মুখ দেখেনি।
জমির একাংশের মালিক দাবীদার তোতা মিয়া জানান, ৫৪৭ দাগে ভুলবশত হাসপাতালের নামে রেকর্ড হওয়ায় ২০১৪ সালে রেকর্ড সংশোধনী মামলা চলমান রয়েছে। যার মামলা নং ৪৭০২৫। আমার বিশ্বাস আদালত থেকে আমি ন্যায় বিচার পাব।
স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার নূরুল হুদা খান জানান, আমি এ বিষয়ে এ্যাসিলেন্ড সাহেবের নিকট জমিটি মাপার করার জন্য আবেদন করব। যদি তারা হাসপাতালের জমি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণ করে তাহলে ভূমি মন্ত্রনালয় এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) রেজোয়ান ইফতেকার জানান, এ বিষয়ে ইউএনও স্যারের সাথে আপনি কথা বলেন, ইউএনও স্যারের নিকট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে তিনি আমাকে অভিযোগের কপি ফরওয়ার্ড করবেন এর পর ব্যবস্থা নেব।
ইমেরিটাস এডিটরঃ দিলওয়ার খান
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মুহা. জহিরুল ইসলাম অসীম
বার্তা সম্পাদকঃ শরীফা অসীম বর্ষা
অস্থায়ী কার্যালয় : এআরএফবি ভবন, ময়মনসিংহ রোড, সাকুয়া বাজার, নেত্রকোণা সদর, ২৪০০
ফোনঃ ০১৭৩৫ ০৭ ৪৬ ০৪, বিজ্ঞাপন: ০১৬৪৫ ৮৮ ৪০ ৫০
ই-মেইলঃ netrokonajournal@gmail.com
©২০২০-২০২৪ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত