নেজা ডেস্ক :
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালের মধ্যমার্চ থেকে বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় মানুষ হত্যা শুরু করে। ২৫ মার্চ থেকে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করে পথে ঘাটে এবং বাসা-বাড়িতে হত্যার পাশাপাশি হানাদার ও তাদের সাহায্যকারী রাজাকার আলবদর বাহিনীর সদস্যরা নেত্রকোণা জেলার বিভিন্ন স্থানে মানুষকে হত্যা করার জন্য বধ্যভূমি নির্ধারণ করে। জেলা শহরের বাইরেও উপজেলা সদরে নির্ধারিত বধ্যভূমিতে তারা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগি শক্তি ও সাহায্যকারীদের ধরে নিয়ে হত্যা করতো।
পূর্ব ময়মনসিংহের অধিকাংশ সরকারি অফিস বিশেষ করে পুলিশ স্টেশন ও থানা প্রশাসকের কার্যালয়গুলো যোগাযোগের সুবিধার্থে নদীর তীরে স্থাপন করা হয়। আর তাই বধ্যভূমিগুলো পড়ে তোলা হয় নদীর তীরে। নেত্রকোণা শহরের মোক্তারপাড়া ব্রিজ সংলগ্ন ঘাট, সদর থানার সামনে মগড়া নদীর তীর, চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন মগড়া নদীর ঘাট, চল্লিশা রেলক্রসিং সংলগ্ন রেলব্রীজ এলাকা ছাড়াও নেত্রকোণা পূর্বধলা সড়কের ত্রিমোহনী ব্রীজ এলাকাকে বধ্যভূমিতে পরিণত করে। মহকুমা শহরের বাইরে সব কয়টি থানা সদরেও বধ্যভূমি ছিল। বিশেষ করে পূর্বধলা, দূর্গাপুর, কলমাকান্দা, মোহনগঞ্জ, কেন্দুয়া, মদন এলাকায় একাধিক বধ্যভুমি ছিলো।
মহান মুক্তিযুদ্ধে হানাদার বাহিনী যাদের ধরে নিয়ে বধ্যভূমিতে হত্যা করেছে সেই সব শহীদদের স্মরণে বধ্যভ‚মিতে গড়ে ওঠেছে স্মৃতিস্তম্ভ বা স্মৃতি সৌধ। জেলা সদর ছাড়াও উপজেলা সমূহে এরূপ একাধিক স্মৃতিস্তম্ভ বা স্মৃতিসৌধ নির্মাণ হয়েছে। এমনই একটি স্মৃতিস্তম্ভ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভ। নেত্রকোণা সদর থানার পাশে মগড়া নদীর পাড়ে ৩০ ফুট উচ্চতার এই স্মৃতিস্তম্ভটি নতুন করে ১৯৯৪ সালে নির্মিত হয়। আগেও এখানে একটি স্মৃতিস্তম্ভ ছিলো।
১৯৯৪ সালে জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার ও ডেপুটি কমান্ডার যথাক্রমে এডভোকেট সাফায়েত আহমেদ খান ও হায়দার জাহান চৌধুরী এবং জেলা প্রশাসক দেওয়ান আফসার উদ্দিন এ ব্যাপারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। নেত্রকোণার সাধারণ ব্যবসায়ী-জনগণ ছাড়াও প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আমিন তালুকদার, সংসদ সদস্য ওরারেসাত হোসেন বেলাল বীরপ্রতিক, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু আক্কাস আহমেদ, প্রয়াত ফকির আশরাফ ও বিনোদকান্তি দাস আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে। স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ কাজ তদারকি করেন নির্মল কুমার দাস। স্মৃতি স্তম্ভের পাশে নেত্রকোণার শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের নামাঙ্কিত রয়েছে।
স্মৃতি একাত্তর : নেত্রকোণা শহরের মোক্তারপাড়া ব্রিজের উত্তর পূর্ব দিকে মগড়া নদীর তীর ঘেঁসে ‘স্মৃতি একাত্তর’ স্মৃতি সৌধটির অবস্থান। এ স্থানটি একটি বধ্যভূমি। স্থানীয় সামাজিক সংগঠন মিতালী সংঘ এ বধ্যভূমিতে স্মৃতি একাত্তর নামক স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। এ স্মৃতি সৌধটি শহীদ বদিউজ্জামান মুক্তা ও অন্যান্য শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গীত। বদিউজ্জামান মুক্তা এ বধ্যভূমিতেই শহীদ হয়েছিলেন। স্মৃতি একাত্তর স্মৃতি সৌধটির নকশা প্রনয়ন করে ছিলেন মিতালী সংঘের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, দেশের বিশিষ্ট কার্টুনিস্ট বিপুল শাহ
সাত শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধ : এ স্মৃতি সৌধটি অবস্থান কলমাকান্দা উপজেলার নাজিরপুর বাজারের পূর্ব পাশে। ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই নাজিরপুর বাজারের পূর্ব পাশে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হয়েছিলেন ডাক্তার আব্দুল আজিজ, ফজলুল হক, ইয়ার মামুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস ও জামাল উদ্দিন। এ ছাড়াও স্থানীয় যুবক কালা মিয়াও সেদিন ওই স্থানে শহীদ হন। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে লেঙ্গুড়ার ফুলবাড়ি গ্রামে ওই বীর শহীদদের সমাহিত ও দাহ করা হয়েছিল। দেশ স্বাধীন হলে মু্ক্তিযোদ্ধারা ৭ বীর শহীদের সমাধিগুলো নাক ফলক যুক্ত করে বাধাঁই করে রেখেছে। ১৯৮৮ সালে নাজিরপুরের ওই যুদ্ধক্ষেত্রে একাংশে। ৭ শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি সৌধ নির্মানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এর উদ্যোক্তা ছিল ময়মনসিংহ মু্ক্তিযোদ্ধা সংসদ ও নেত্রকোণা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ। বিশেষ করে ময়মনসিংহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার নাজমুল হক তারা ও কলমাকান্দা থানার তৎকালীন ওসি আব্দুল হেকিম, জেলা প্রশাসক আয়াতুল্লাহ মজুমদার ও জাতীয় সংসদ সদস্য গোলাম রব্বানীর দেয়া অর্থে নাজিরপুর ৭ শহীদ মু্ক্তিযোদ্ধা স্মৃতি সৌধটি নির্মিত হয়। নেত্রকোণা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হায়দার জাহান চৌধুরী এ ব্যাপারে দায়ি়ত্বশীল ভূমিকা পালন করেন ।
মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী সড়ক, "বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ মেহের আলী গেইট", “বিজয় একাত্তর সম্মাননা-২০২২” এবং ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও লোকসাহিত্য গবেষণা একাডেমি সম্মাননা স্মারক ২০২২ শহীদ মেহের আলী স্মৃতি পরিষদ, শহীদ মেহের আলী স্মৃতি যুব জাগরণ সমিতি:
শহীদ মেহের আলী ছিলেন নেত্রকোণার মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের মধ্যে একমাত্র শহীদ এবং শহীদ বুদ্ধিজীবিদের মধ্যে অন্যতম (সরকার নির্ধারিত শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সংজ্ঞা অনুযায়ী) যিনি বীর মুক্তিমুযোদ্ধা হিসেবে ১৯৭১ সালের ১৭ই মে মহেষখলা ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন কালে আততায়ীর গুলিতে শহীদ হন । ষাটের দশকে স্বাধীনতা সংগ্রামে অসামান্য অবদান ও মুক্তিযু্দ্ধে জীবন বিসর্জনের জন্য গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার নেত্রকোণা পৌরসভায় ১৯৯৮ সালে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এ মুক্তিযোদ্ধার নামে অজহর রোডের মোড় থেকে পূর্বদিকে ইসলামপুর র্পযন্ত এই রাস্তাটির নামকরণ করেছে - মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী সড়ক। মাননীয় সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান(শেফালী) ২০১৫ সালে নেত্রকোনা চন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়রে স্কুলের একটি গেইটের নামকরন করেন "বীর মুক্তিযোদ্ধা মেহের আলী গেইট", শহীদ মেহের আলী স্মৃতি পরিষদ ও শহীদ মেহের আলী স্মৃতি যুব জাগরণ সমিতি, মালনী রোড(বর্তমানে সমিতি ঘরটিকে মসজিদে রুপান্তরিত করা হয়েছে)।“বিজয় একাত্তর সম্মাননা-২০২২” এবং ভাষা সৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও লোকসাহিত্য গবেষণা একাডেমি সম্মাননা স্মারক ২০২২।
শহীদ মেহের আলী ছিলেন নেত্রকোনা মুক্তিসংগ্রাম পরিষদের অন্যতম সদস্য,মহেষখলা ইয়ুৎ ক্যাম্প পরিচালনা কমিটির অন্যতম সদস্য(ছাত্র ও যুবনেতাদের মধ্য থেকে নির্বাচিত),ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রনেতা। ১৯৬০ সালে মার্শাল’‘ল’ বিরোধী আন্দোলনের সময় কিংবদন্তী ছাত্রনেতা জনাব মেহের আলী ছাত্র সংস্থা নামে একটি সংগঠন গড়ে তুলেন,(যখন দেশে সামরিক আইনের কারনে রাজনীতি নিষিদ্ধ ছিল তখন এই গোপন সংগঠনটি গড়ে তোলা হয় যার মাধ্যমে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করা হতো)। তিনি ছিলেন নেত্রকোনা মহকুমা ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি(জাতিরজনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বাধীন পূর্বপাকিস্তান আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন),জেলা শ্রমিকলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি,নেত্রকোনা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের অন্যতম স্থপতি,মধুমাছি কচিকাঁচার মেলার প্রধান উদ্যেক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক,যুবজাগরণ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি(মালনী রোড-বর্তমানে সমিতি ঘরটিকে মসজিদে রুপান্তরতি করা হয়েছে) এবং জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম ও কৃষিবিষয়ক সম্পাদক'৭১র্পযন্ত।(ষাটের দশকে ছাত্রদের পর শ্রমিক ও কৃষক গোষ্ঠী সবচেয়ে শক্তিশালী ছিল। এই দুটি গোষ্ঠী নেত্রকোনায় স্বাধীকার আন্দোলন,সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে অত্যন্ত গুরুত্ত্বর্পূণ ভুমিকা পালন করে।)মেহের আলী ১৯৪১ সালে নেত্রকোণা মিউনিসিপ্যালিটির ইসলামপুরে জন্ম গ্রহন করেন । তিনি তাদের মালনী রোডের বাসায় থেকে তার সফল ব্যবসায়িক ও রাজনৈতিক জীবন গড়ে তোলেন।
শহীদ সন্তোষ পার্ক : দুর্গাপুর পৌর শহরে এ স্মারক পার্কের অবস্থান। ১৯৭১ সালে ২৮ জুন বিজয়পুর যুদ্ধে শহীদ হয়ে়ছিলেন বীর মুক্তিযদ্ধো সন্তোষ চন্দ্র বিশ্বাস। দুর্গাপুর উপজেলার কুড়ালিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম হয়ে়ছিল। দেশ স্বাধীন হলে দুর্গাপুর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কার্যালয় প্রাঙ্গনটি শহীদ মুক্তিযোদ্ধা সন্তোষ বিশ্বাসের নামে নামকরণ করা হয় শহীদ সন্তোষ পার্ক।
শহীদ আব্দুল আওযাল তোরণ : শহীদ আব্দুল আওযাল ছিলেন দুর্গাপুর এম, কে, সি, এম হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক। বাঙালি চেতনায বিশ্বাসী প্রগতিশীল মানুষ ছিলেন তিনি। পাকিস্তানী হানাদাররা তাকে ধরে নিয়ে নৃশংস ভাবে গুলি করে হত্যা করেছিল। যুদ্ধশেষে দুর্গাপুর এম, কে, সি, এম হাই স্কুল শহীদ আব্দুল আওয়াল এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি তোরণ নির্মাণ করে ।
সুধীর বড়–য়া স্মৃতিস্ত: পূর্বধলা ও গৌরীপুর উপজেলা সীমান্তে শ্যামগঞ্জ বাজারের রেলওয়ে মাঠের সুধীর বড়–য়া স্মৃতিস্তম্ভ হানাদার বাহিনী পালানের হত্যা করে। প্রয়াত শিল্পী শাহতাব ও খান উদ্যোক্তা। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বাজারের রেলওয়ে় মাঠের পাশে সুধীর বড়ুয়া স্মৃতি । হানাদার বা সময মুক্তিযোদ্ধা সুধীর বড়–য়া গুলি করে হত্যা করে। প্রয়াত লিংক আব্যাপক সুধীর দাস এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে প্রধান উদ্যেক্তা। কান আর্থিক সহযোগিতায এটি নির্মিত হয়।
জেলা প্রশাসক কার্যালয স্মৃতিস্তম্ভ : জেলা প্রশাসন ও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে ২০০৩-২০০৪ অর্থবছরে নির্মিত হয জেলা প্রশাসক কার্যালয স্মৃতিস্তম্ভ। জেলা প্রশাসক হোসাইন জামিল ও মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাযদার জাহান চৌধুরী এতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
শহীদ ড. ফজলুর রহমান রোড,: শহীদ ড. ফজলুর রহমান রোড, মোহনগঞ্জ পৌর শহরের প্রধান সড়ক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ড. ফলুর রহমান খান ২৫ মার্চ কালো রাতে পাক হানাদারদের হাতে শহীদ হন। ড. ফজলুর রহমানের গ্রামের বাড়ি মোহনগঞ্জের টেঙ্গাপাড়া গ্রামে। ১৯৭৫ সাল মোহনগঞ্জ পৌরসভা ড, ফজলুর রহমান খানের নামে মোহনগঞ্জ পৌরসভার প্রধান রাস্তাটির নামকরণ করে, “বিজয় একাত্তর সম্মানা-২০২২” ।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আলী উসমান রোড: ১৯৮৬ সালে মোহননগঞ্জ পৌর শহরে রাস্তার নামকরণ করা হয।
শহীদ দবির উদ্দিন রোড : ১৯৮৬ সালে মোহননগঞ্জ পৌর শহরে রাস্তার নামকরণ করা হয।
শহীদ আনোয়ারুল আলম খা রোড : ১৯৮৬ সালে মোহননগঞ্জ পৌর শহরে রাস্তার নামকরণ করা হয।
স্মারক ডাক টিকিট : ড. ফজলুর রহমান খান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ডাক বিভাগ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এ দু'জন বুদ্ধিজীবীর ছবি দিয়ে পৃথক স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করে। ড. ফজলুর রহমান খান এর ছবি দিয়ে একটি স্মারক খাম একই সালে প্রকাশ হয়েছিল ।
স্মারক ডাক টিকিট : নেত্রকোণা কলেজের দর্শন বিভাগের শিক্ষক প্রভাষক আরজ আলী মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। ডাক বিভাগ মুক্তিযুদ্ধে শহীদ এ বুদ্ধিজীবীর ছবি দিয়ে পৃথক দুটি স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করে, “বিজয় একাত্তর সম্মানা-২০২২” ।
শহীদ আবদুল কুদ্ছ মগড়া সেতু : মদন উপজেলা সদরে মগড়া নদীর উপর সেতুটি মুক্তিযুদ্ধে শহীদ আবদুল কুদ্দুসের নামে নামকরণ হয়েছে। হাসুকুলী গ্রামের আবদুল কুদ্ছ ১৭ সেপ্টেম্বর মদন যুদ্ধে শহীদ হয়ে়ছিলেন। ১৯৯৫-৯৬ অর্থ বছরে ১০৬৮ মিটার দৈঘ্য সেতুটি। স্থানীয় সরকার বিভাগ নির্মান করে।
শহীদ তারাব উদ্দিন রোড : তারাব উদ্দিন মুক্তিযুদ্ধে সিলেটের পীরের টিলা (ছাতক) নামক স্থানে শহীদ হন। তিনি সেনা বাহিনী থেকে মুক্তিযুদ্ধে যুক্ত হয়েছিলেন। ময়মনসিংহ সেনানিবাসের প্রধান সড়কটি শহীদ তারাব উদ্দিনের নামে নামকরণ করা হয়েছে। তিনি মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বার প্রতীক খেতাবে ভূষিত হয়ে়ছেন। শহীদ তারাব উদ্দিনের জন্য পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে।
শহীদ ফেরদৌস সংঘ : পূর্বধলা উপজেলার শহীদ ফেরদৌস সংঘ। ফল যাত্রাবাড়ি গ্রামের শহীদ আমিরুল ইসলাম ফেরদৌস এর স্মৃতির উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠা করে শহীদ ফেরদৌস সংঘ। এছাড়াও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে জেলার এনে গড়ে় উঠেছে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ও সামাজিক সংগঠন।
কর্ণেল তাহের মাজার: ১১নং সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল আবু তাহের কে সমাহিত করা হয় নেত্রকোণার কাজলা গ্রামে। প্রতিবছর তাঁর জন্ম ও মৃত্যুদিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীগণ তাহের এর মাজার সমবেত হয়। পুষ্ট হন। বিশেষ করে জাসদের নেতারা মনে করেন অন্যতম পথ প্রদর্শকের মাজার এটি।
এই লেখকের লেখা আরও পড়ুন……
শহীদ মেহের আলী একটি নাম, একটি ইতিহাস : বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
নেত্রকোণায় বঙ্গবন্ধু: বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
ষাটের দশকে ছাত্র রাজনীতি ও ৭১’- র মুক্তিযুদ্ধ : বীরমুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী
ইমেরিটাস এডিটরঃ দিলওয়ার খান
সম্পাদক ও প্রকাশকঃ মুহা. জহিরুল ইসলাম অসীম
বার্তা সম্পাদকঃ শরীফা ইসলাম বর্ষা
অস্থায়ী কার্যালয় : এআরএফবি ভবন, ময়মনসিংহ রোড, সাকুয়া বাজার, নেত্রকোণা সদর, ২৪০০
ফোনঃ ০১৭৩৫ ০৭ ৪৬ ০৪, বিজ্ঞাপন: ০১৬৪৫ ৮৮ ৪০ ৫০
ই-মেইলঃ netrokonajournal@gmail.com
©২০২০-২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত