মোঃ আমিনুল ইসলাম মন্ডলঃ
নেত্রকোণার পূর্বধলায় জেলা প্রশাসকের মত বিনিময় সভায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন'র বিরুদ্ধে ও অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোহাম্মদ আইয়ুব আলী ও মো. নিজাম উদ্দিন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন'র বিভিন্ন কর্মকান্ডের সমালোচনা করে বলেন, বিভিন্ন সময় কটুক্তির মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাদেরকে অপমান অপদস্ত কর, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন কাজে বাধা, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময় হেয় প্রতিপন্ন করায় দুই বছর যাবত আমারা প্রশাসনিক কোন সভায় অংশ নেই না।

মুজিববর্ষে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রথম পর্যায়ে ১২টি বীর নিবাস নির্মাণ কাজের মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে নিজের ক্ষমতা বলে সাবে কাজ বাগিয়ে নিয়ে সে কাজগুলি করেনি। এর ধারাবাহিকতায় পরবর্তীতে তারই প্ররোচনায় আরও ৪৯টি সহ মোট ৬১টি বীর নিবাসের কাজ এখনো সম্পন্ন হয়নি।

এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা হলেন জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান তাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে দেশটা স্বাধীন হয়েছিল বলেই আমরা কোট টাই পড়ে সরকারি দায়িত্ব পালন করছি। মুক্তিযোদ্ধারা যে দপ্তরে যাবেন সম্মানের সহিত সবার আগে সেই সেবাটি দিবেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. খবিরুল আহসান’র সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) জানুয়ারি দুপুরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে সরকারি কর্মকর্তা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ রাজু আহমদ রাজ্জাক সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা সুমি আকন্দ, পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ রাশেদুল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধার সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আইয়ুব আলী, মো. নিজাম উদ্দিনসহ বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।