সব
facebook netrokonajournal.com
মুক্তির মাস মাহে রমজান: করণীয় ও বর্জনীয় -মোয়াজ্জেম চৌধুরী | নেত্রকোণা জার্নাল

মুক্তির মাস মাহে রমজান: করণীয় ও বর্জনীয় -মোয়াজ্জেম চৌধুরী

প্রকাশের সময়:

মুক্তির মাস মাহে রমজান: করণীয় ও বর্জনীয় -মোয়াজ্জেম চৌধুরী

পবিত্র মাহে রমজানের আগমন হয়েছে বছর ঘুরে। রমজান মাস মুসলমানদের একটি তাৎপর্যপূর্ণ মাস ও মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের মাস। রমজান ফার্সি শব্দ। পবিত্র আল কোরআনে সিয়াম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। যার অর্থ উপবাস থাকা যার মানে হলো একটি নির্দিষ্ট সময় থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সকল প্রকার খাদ্য পানাহার থেকে বিরত থাকা।

এই মাসেই নাজিল হয়েছিল পবিত্র যার গুরুত্বপূর্ণ রজনী রয়েছে। যে রাতের কথা মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে একটি সূরা রয়েছে সূরা কদর। কুরআন নাযিলের কারণে মর্যাদার এ রাতের কথা উল্লেখ করার পর যে মাসে কুরআন নাযিল হয়েছে সে মাসের কথাও আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমে উল্লেখ করেছেন এভাবে-

আল্লাহ তায়ালা বলেন: ‘রমজান মাস! এমন একটি মাস যে মাসে কোরআন নাযিল হয়েছে মানবের মুক্তির দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে। ’ (সুরা-২ আল বাকারা, আয়াত: ১৮৫)।

রমজান মাস তথা রোজা পালন সম্পর্কে পবিত্র আল কোরআনে মহান আল্লাহ পাক এরশাদ করেছেন – ” হে ঈমানদারগন তোমাদের উপর রোজা ফরজ করা হলো, যা তোমাদের পূর্ববর্তীগনের উপরও করা হয়েছিল যাতে তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারো “।

রমজান মাসের চাঁদ দেখার পর থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পূর্ব পর্যন্ত নির্দিষ্ট সময় থেকে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত রোজা পালন করতে হয় আল্লাহর নির্দেশে। এই রোজা পালন কারীকে মহান আল্লাহ পাক স্বয়ং নিজেই তার পুরস্কার প্রদান করবেন।

পবিত্র এই মাসকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। যথা প্রথম দশদিন রহমতের, দ্বিতীয় দশদিন মাগফিরাতের এবং শেষের দশদিন নাজাতের ( শেষের দশদিন দিন চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল) ।

আল্লাহর নির্দেশে সেহরির নির্দিষ্ট থেকে ইফতারের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সকল প্রকার খাদ্য পানাহার পরিহার করে সম্পূর্ণ উপবাস থাকাই হলো রোজা। রোজা পালন করা সম্পর্কে পবিত্র আল কোরআন ও হাদিস শরীফে স্পষ্ট করে দেয়া হয়েছে। কখন সেহরি খাবেন, কখন ইফতার করবেন সবকিছু বলা রয়েছে।

একমাস সিয়াম সাধনার পর থেকে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখার পূর্ব পর্যন্ত রোজা পালন করতে হবে। এই একমাস সিয়াম সাধনা করে দুনিয়ায় মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে পুরুস্কার হিসেবে ঈদুল ফিতর প্রদান করা হয়েছে।

পবিত্র রমজান মাসে প্রত্যেক রোজাদার ও মুসলিম উম্মাহ’র জন্য করণীয় বিষয়ঃ-

পবিত্র আল কোরআন ও হাদিস শরীফে স্পষ্ট ভাবে বলে দেয়া হয়েছে কিভাবে আমল করবেন রমজান মাসে। মুসলমানদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ মাস। এই মাসে বিভিন্ন আমল রয়েছে। যা করণীয় বিষয় সম্পর্কে সকলের অবগত হয়ে তা পালন করা। যার মধ্যে ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, সুন্নাত, নফল ও মুস্তাহাব।

ফরজ ও ওয়াজিব বিষয় সমূহ:
১। রোজা পালন করা
২। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা
৩। তারাবির নামাজ আদায় করা
৪। ইতিফাক আদায় করা

সুন্নাতে মুয়াক্কাদা, সুন্নাত, নফল ও মুস্তাহাব সমূহ:

বেশি বেশি পবিত্র আল কোরআন তেলাওয়াত করা। অন্যান্য মাসে কোরআন তেলাওয়াত এমন একটি আমল যা সব জিকিরের চেয়ে উত্তম জিকির। অন্যান্য মাসের তুলনায় রমজান মাসে কোরআন তেলাওয়াত গুরুত্বপূর্ণ আমল যাতে অসংখ্য সওয়াব রয়েছে। এই মাসে বেশি বেশি তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া। তাহাজ্জুদ তো এমন আমল যা নীরবে নির্জনে করা হয়। আর নির্জনের ইবাদত কবুল হবার অনেক প্রমাণ রয়েছে।

অন্যান্য মাসের তুলনায় এই মাসে বেশি বেশি নফল নামাজ পড়। মহান আল্লাহ পাকের বেশি বেশি জিকির করা। বেশি বেশি তওবা করা। কারণ এই মাসে আল্লাহ তায়ালা উনাদের বান্দাদের তওবা কবুল করেন এবং রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত করেন।তাই রমজান মাসে অধিক পরিমাণে মহান আল্লাহর দরবারে ক্ষমা চেয়ে রহমত, মাগফিরাত এবং নাজাত চাওয়া।

রোযার মাধ্যমে মুমিন বান্দা আল্লাহর এতই নৈকট্য অর্জন করে যে, যতক্ষণ সে রোযা অবস্থায় অথবা রোযার প্রস্তুতির অবস্থায় থাকে (অর্থাৎ রাত-দিন) ততক্ষণ তার কোনো দুআ ফেরত দেওয়া হয় না, সমস্ত দুআ কবুল করা হয়। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, প্রত্যেক মুসলিম (রমজানে) যে দুআ করে তা কবুল করা হয়।-মুসনাদে বায্যার : ৩১৪১

এ মাস দুআ কবুলের মাস:
তাই আমাদের উচিত বেশি বেশি দুআ করা। ইফতারের আগ মুহূর্তে দুআ করা ইফতারের সময় দুআ কবুল হয়। আব্দুল্লাহ ইবনে মুলাইকা বলেন, আমি আব্দুল্লাহ ইবনে আমর রাদি. থেকে শুনেছি তিনি বলছেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি, ইফতারের সময় রোযাদারের একটি দুআ কবুল করা হয়।

আব্দুল্লাহ ইবনে মুলাইকা বলেন, আমি হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমরকে ইফতারের সময় এ দুআ করতে শুনেছি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা বি রাহমাতিকা আল্লাতি ওসিআত কুল্লা শায়ইন আন তাগফিরলি’। অর্থাৎ, হে আল্লাহ, আমি তোমার দরবারে সেই রহমতের উসিলায় আবেদন করছি যা সকল বস্তুকে বেষ্টন করে রেখেছে, তুমি আমাকে মাফ করে দাও। (মুসতাদরাকে হাকেম : ১/৫২৯, হাদীস নং : ১৫৬৭) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় আল্লাহর কাছে এ দুআ করতেন। (সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং : ১৭৫৩)

পবিত্র রমজান মাসে বর্জনীয় বিষয়ঃ
নিজের দৃষ্টিকে হেফাজত করা। যেনো কোনো খারাপ কাজে দৃষ্টিপাত না করা। বেগানা মহিলার প্রতি দৃষ্টি না দেয়া । এমনিভাবে কোনো নাজায়েজ কাজের দিকেও যেনো দৃষ্টি না দেয়া ।

এই বিষয়ে নবী কারিম মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, দৃষ্টি ইবলিসের তীরগুলোর মধ্যে একটি। যে ব্যক্তি আল্লাহ তায়ালার ভয়ে হতে বেঁচে চলবে, আল্লাহ তায়ালা তাকে এমন ঈমানী নূর দান করবেন যার মিষ্টতা ও স্বাদ সে তার দিলের মধ্যে অনুভব করবে।

জবানের হেফাজত করা। মিথ্যা, পরনিন্দকারী, অযথা কথাবার্তা, গীবত, অশ্লীল কথাবার্তা, ঝগড়া-বিবাদ ইত্যাদি সবকিছুই এগুলোর অন্তর্ভুক্ত। সহীহ বুখারী শরীফে বলা হয়েছে, রোজা মানুষের জন্য ঢালস্বরূপ। তাই রোজাদারের উচিত তিনি যেনো তার জবান দ্বারা কোনো অশ্লীল বা মূর্খতার কথা-বার্তা, ঠাট্টা-বিদ্রূপ প্রভৃতি না করেন। যদি কেউ ঝগড়া করতে আসে, তবে তাকে বলে দেবেন যে তিনি রোজাদার।

কানের হেফাজত করা। প্রত্যেক অপ্রিয় বিষয় যা মুখ বা জবান থেকে বের করা নাজায়েজ, তা শোনাও নাজায়েজ। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ সম্পর্কে বলেছেন, গীবতকারী ও গীবত শ্রবণকারী উভয় গোনাহের অংশীদার হয়।

গীবত তথা অন্যের সমালোচনা থেকে বেঁচে থাকা। এজন্য অবশ্য আমাদের জানা উচিত যে গীবত কাকে বলে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করলো যে গীবত কি জিনিস? তিনি বললেন গীবত হলো কারো পেছনে এমন কথা বলা যা তার কাছে অপছন্দনীয়।

লোকটি জিজ্ঞাসা করলেন, যা বলা হলো তা যদি বাস্তব হয় তবে কি হবে? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন তবুও গীবত হবে। আর যদি বিষয়টি তার মধ্যে না থাকে তবে তা হবে মিথ্যা অপবাদ।বর্তমান সমাজে গীবতটা খুবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু গীবতের পরিণাম ভয়াবহ। যা জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে। শরীরের অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগের হেফাজত করা। যেমন হাতকে নাজায়েজ বস্তু ধরা হতে, নাজায়েজ বস্তুর দিকে যাওয়া থেকে বিরত রাখা।

প্রতিটি মাসের ন্যায় এই মাসেও যে ব্যক্তি রোজা রেখে হারাম মাল দিয়ে ইফতার করে, তার অবস্থা ওই ব্যক্তির মতো যে কোনো রোগের জন্য ওষুধ ব্যবহার করে, কিন্তু তার সঙ্গে সামান্য বিষও মিশিয়ে নেয়। ফলে ওষুধ তার রোগের জন্য উপকারী হলেও পাশাপাশি বিষ তাকে ধ্বংস করে দেয়। অর্থাৎ এই সমস্ত বিষয় থেকে নিজেকে হেফাজত করা তা নাহলে নামাজ রোজা ইবাদত সমূহ নষ্ট হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে তাতে সন্দেহ নেই। সুতরাং আমাদের কর্তব্য তাওবা-ইস্তিগফার করা। কেননা, যে ক্ষমা চায় তাওবা করে তাকেই আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। অন্য কাউকে নয়।

গীবত তথা অন্যের সমালোচনা থেকে বেঁচে থাকা একান্ত জরুরি। এজন্য অবশ্য আমাদের জানা উচিত যে গীবত কাকে বলে। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কেউ একজন জিজ্ঞাসা করলো যে গীবত কি জিনিস? তিনি বললেন গীবত হলো কারো পেছনে এমন কথা বলা যা তার কাছে অপছন্দনীয়।

লোকটি জিজ্ঞাসা করলেন, যা বলা হলো তা যদি বাস্তব হয় তবে কি হবে? নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন তবুও গীবত হবে। আর যদি বিষয়টি তার মধ্যে না থাকে তবে তা হবে মিথ্যা অপবাদ। বর্তমান সমাজে গীবতটা খুবই স্বাভাবিক হয়ে গেছে। কিন্তু গীবতের পরিণাম ভয়াবহ। যা জাহান্নাম পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারে।

রোযার অবস্থায় তা আরও বেশি জরুরি। কারণ, গোনাহের কারণে রোযার ফলাফল বরবাদ হয়ে যায়। রোযার ফরজ আদায় হয়ে যায় কিন্তু রোযার নূর ও রুহানিয়াত একেবারে বরবাদ হয়ে যায়। নিম্নে কিছু গোনাহের বিবরণ তুলে ধরা হচ্ছে যেগুলোর আলোচনা হাদীস শরীফে এসেছে।

অশ্লীল কথা বার্তা না বলা এবং শোরগোল না করা:
রোযা অবস্থায় অশ্লীল কথাবার্তা, শোরগোল ও ঝগড়া-ফ্যাসাদ থেকে বিরত থাকা জরুরি। হাদীস শরীফে এসেছে, তোমাদের কেউ যখন রোযা অবস্থায় থাকে তখন যেন অশ্লীল কথা না বলে এবং শোরগোল না করে। আর কেউ যদি তার সঙ্গে ঝগড়া করে, গালি দেয়, তা হলে সে যেন শুধু বলে দেয়, আমি তো রোযাদার। (অর্থাৎ তোমার সাথে বিবাদ করার এবং গালির জবাব দেওয়ার সুযোগ আমার নেই।)-সহীহ বুখারী : ১৯০৪

অপর এক হাদীসে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কত রোযাদার এমন আছে, (রোযা অবস্থায় অশ্লীল কথা ও কর্ম থেকে বিরত না থাকার ফলে) ক্ষুধা ও পিপাসা ছাড়া রোযা থেকে সে আর কিছু লাভ করতে পারে না। তদ্রƒপ অনেক রাত জাগরণকারী এমন আছে যে তার রাত্রিজাগরণ থেকে জেগে থাকার কষ্ট ছাড়া আর কিছু পায় না।-সুনানে ইবনে মাজাহ : ১৬৯০

মিথ্যা কথা না বলা: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও ইরশাদ করেছেন, যে রোযা রেখেছে অথচ মিথ্যাচার পরিহার করেনি, তার এই কৃত্রিম পানাহার বর্জনের কোনো প্রয়োজন আল্লাহর নেই।-সহীহ বুখারী : ১৯০৩

অনর্থক কথা বা কাজ না করা:
হযরত আবু হুরায়রা রাদি. বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, রোযা শুধু পানাহার বর্জন করার নাম নয়; বরং রোযা হলো অনর্থক কথা ও কাজ এবং অশ্লীল কথা বর্জন করা।-মুসতাদরাকে হাকেম : ১/৫৩৯, হাদীস নং : ১৬০২

গীবত না করা:
হাদীস শরীফে বর্ণিত আছে, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দরবারে দুজন মহিলা উপস্থিত হয়ে (দরজার বাইরে থেকে) অভিযোগ করল, রোযার কারণে তাদের খুব কষ্ট হচ্ছে। পিপাসার কারণে প্রাণ ওষ্ঠাগত প্রায়। এ অবস্থা শুনে তিনি লোকমারফতে তাদের বমি করার আদেশ দিলেন। দেখা গেল, গোশতের টুকরা ও তাজা রক্ত বের হচ্ছে।

সাহাবায়ে কেরাম রাদি. অবাক হলেন। তখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এরা হালাল খাদ্য দ্বারা সাহরী করে রোযা রেখেছে, কিন্তু রোযা অবস্থায় হারাম খেয়েছে। অর্থাৎ মানুষের গীবত করেছে। আর গীবত করার অর্থ হলো মৃত ভাইয়ের গোশত খাওয়া।-মুসনাদে আহমাদ : ২৩৬৫৩

এ হাদীস দ্বারা বোঝা যায়, গীবত ও অন্যান্য গোনাহ দ্বারা রোযার কষ্ট অনেক বেড়ে যায়। এ কারণেই দেখা যায় আল্লাহর নেক বান্দারা রোযার তেমন কোনো কষ্ট অনুভব করেন না; বরং তারা অনেক আত্মিক, এমনকি দৈহিক শান্তি লাভ করে । পক্ষান্তরে যারা গীবত করে এবং বিভিন্ন গোনাহে লিপ্ত থাকে তারা রোযার কারণে বেশ কাহিল হয়ে পড়ে। ফলে বিভিন্ন বাহানা করে রোযা থেকে রেহাই পেতে চায়।

তাছাড়া গরীব অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো বিত্তবান দের এগিয়ে আসা একান্ত প্রয়োজন। কেননা এই মাসে গরীব অসহায় দিন মজুর অন্য মাসের তুলনায় রোজগারের বিষয়টি কমে আসে। লোক দেখানো ইবাদত পরিহার করে মহান আল্লাহ পাকের কাছে রহমত, মাগফিরাত ও নাজাত অর্জন করে উনার নৈকট্য হাসিল করার সুযোগ রয়েছে অধিক পরিমাণে। মুসনাদে আহমাদ : ১৮৭৯৪| আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে করণীয় বিষয় পালন করা ও বর্জনীয় বিষয় থেকে মুক্ত থেকে আল্লাহর নৈকট্য লাভের তৌফিক দান করুন।

তাছাড়া আসুন আমরা সবাই পবিত্র মাহে রমজান মাসে রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে চলার চেষ্টা করি এবং ফরজ, ওয়াজিব, সুন্নত, নফল, মুস্তাহাব আদায় করে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করি। নিজেদের গোনাহকে মাফ করাই। নিজের চরিত্রে পরিবর্তন আনি। তাহলেই সার্থক হবে আমাদের জীবন। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে রোজার পরিপূর্ণ হক আদায় করে রোজা রাখার তৌফিক দান করুন। আমিন।

লেখক:
মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন চৌধুরী
কবি, কলামিস্ট, গবেষক, গণমাধ্যম ও মানবাধিকার কর্মী।
মৌলভীবাজার, সিলেট, বাংলাদেশ।
মেইল – pressmuazzambd@gmail.com

আপনার মতামত লিখুন :

 ফেসবুক পেজ

 আজকের নামাজের ওয়াক্ত শুরু

    নেত্রকোণা, ময়মনসিংহ, ঢাকা, বাংলাদেশ
    বৃহস্পতিবার, ১ জুন, ২০২৩
    ১২ Dhu al-Qi'dah, ১৪৪৪
    ওয়াক্তসময়
    সুবহে সাদিকভোর ৩:৪৫ পূর্বাহ্ণ
    সূর্যোদয়ভোর ৫:১১ পূর্বাহ্ণ
    যোহরদুপুর ১১:৫৬ পূর্বাহ্ণ
    আছরবিকাল ৩:১৬ অপরাহ্ণ
    মাগরিবসন্ধ্যা ৬:৪১ অপরাহ্ণ
    এশা রাত ৮:০৭ অপরাহ্ণ
এর আরও খবর
সুদের বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর হুশিয়ারি ও সুদের ভয়াবহ পরিণতি__মোয়াজ্জেম চৌধুরী

সুদের বিরুদ্ধে ইসলামের কঠোর হুশিয়ারি ও সুদের ভয়াবহ পরিণতি__মোয়াজ্জেম চৌধুরী

মানবের মুক্তির দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে লাইলাতুল কদর

মানবের মুক্তির দিশারি ও হিদায়াতের সুস্পষ্ট নিদর্শনরূপে লাইলাতুল কদর

মুক্তির মাস মাহে রমজান: করণীয় ও বর্জনীয় -মোয়াজ্জেম চৌধুরী

মুক্তির মাস মাহে রমজান: করণীয় ও বর্জনীয় -মোয়াজ্জেম চৌধুরী

বারহাট্টায় দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ উদ্বোধন

বারহাট্টায় দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ উদ্বোধন

পবিত্র শবে বরাত: মুসলমানদের মুক্তির রাতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় -মোয়াজ্জেম চৌধুরী

পবিত্র শবে বরাত: মুসলমানদের মুক্তির রাতে করণীয় ও বর্জনীয় বিষয় -মোয়াজ্জেম চৌধুরী

পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে নেত্রকোণায় ওলামা মাশায়েখদের প্রতিবাদ সমাবেশ

পবিত্র কোরআন অবমাননার প্রতিবাদে নেত্রকোণায় ওলামা মাশায়েখদের প্রতিবাদ সমাবেশ

সর্বশেষ সংবাদ সর্বাধিক পঠিত
 
উপদেষ্টা সম্পাদক : দিলওয়ার খান
সম্পাদক ও প্রকাশক : মুহা. জহিরুল ইসলাম অসীম  
অস্থায়ী কার্যালয় : এআরএফবি ভবন, ময়মনসিংহ রোড, সাকুয়া বাজার, নেত্রকোণা সদর, ২৪০০ ।
ফোনঃ ০১৭৩৫ ০৭ ৪৬ ০৪, বিজ্ঞাপনঃ ০১৬৪৫ ৮৮ ৪০ ৫০
ই-মেইল : netrokonajournal@gmail.com
© ২০২০ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।