মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে সোমেশ্বরী নদীতে ডুবে মায়ের মৃত্যু
রাজেশ গৌড়ঃ
গরু গোসল করাতে নদীতে গিয়েছিলো মা-মেয়ে। একপর্যায়ে গরুর রশি পায়ে পেঁচে মেয়ে নদীর পানিতে পড়ে গেলে মেয়েকে বাঁচাতে মা নদীতে ঝাপ দেন। স্থানীয়দের সহায়তায় মেয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও মারা যান মা।
এমনই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে রবিবার বিকেলে নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কানিয়াইল এলাকার সোমেশ্বরী নদীতে।
নিহত ব্যক্তির নাম রেজিয়া খাতুন (৬০)। আর মেয়ে শিশু মিম (১১)। তারা হলেন উপজেলার বিরিশিরি ইউনিয়নের কানিয়াইল গ্রামের আব্দুল জলিলের স্ত্রী ও মেয়ে। চার মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে শিশু মিম সবার ছোট।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,রবিবার বিকেলের দিকে গরুকে গোসল করানোর জন্য বাড়ির পাশে সোমেশ্বরী নদীতে যান রেজিয়া খাতুন। সঙ্গে গিয়েছিল মেয়ে শিশু মিম। গরুকে গোসল করানোর একপর্যায়ে গরুর রশি পায়ে পেঁচে নদীর পানিতে পড়ে যায় মেয়ে মিম।
এই সময় মেয়েকে বাঁচাতে মা রেজিয়া খাতুনও ঝাপিয়ে পড়লে পানিতে ডুবে যায় তারা। এই সময় আশপাশের লোকজন এ দৃশ্য দেখে ছুটে এসে তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মা রেজিয়া খাতুনকে মৃত ঘোষণা করেন অপরদিকে মেয়ে মিমকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নিহতের স্বজন (ভাই) জালাল উদ্দিন বলেন,লাশ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে আনা হয়েছে। ওনার ছেলে মেয়েরা ঢাকায় থাকে তারা আসলে দাফন করা হবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ তানজিরুল ইসলাম রায়হান বলেন,মা মেয়ে পানিতে ডুবার ঘটনায় স্থানীয়রা দুইজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে একজনকে মৃত অবস্থায় পাই যিনি মা। আর মেয়ে শিশুটি হাসপাতালে ভর্তি অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। আগের থেকে শারীরিক অবস্থা এখন ভালো আছে।