মোহনগঞ্জে ইমামের ওপর হামলা: মামলা দায়ের, দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৭, ২০২৫

কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে একের পর এক আলেমদের ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে স্থানীয় ইমাম-মুয়াজ্জিন ও ধর্মপ্রাণ জনতার মধ্যে।

সর্বশেষ মোহনগঞ্জ মডেল মসজিদের সহকারী ইমাম হাফেজ মো. সাইদুর রহমানের ওপর সশস্ত্র হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে।

অপরদিকে, হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ এপ্রিল রাত সাড়ে ১০টার দিকে মোহনগঞ্জ বড় মসজিদের পিছনের রাস্তায় হাফেজ মো. সাইদুর রহমানের ওপর দা, রামদা, কুড়াল, চাইনিজ কুড়াল, টেটা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালানো হয়।

হামলায় গুরুতর আহত সাইদুর রহমানকে রক্তাক্ত অবস্থায় ফেলে হামলাকারীরা তার পকেটে থাকা নগদ ২০ হাজার টাকা এবং মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে মোহনগঞ্জ থানায় বারহাট্টা উপজেলার নূরুল্লারচর গ্রামের ইলিয়াস হোসাইন আরাবি (২৮), তার ভাই মেহেদী হাসান (২২) ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে একটি মামলা (মামলা নং-১০, তারিখ-১৭.০৪.২০২৫ইং) দায়ের করা হয়।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

হামলার প্রতিবাদ ও আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে নেতৃত্ব দেন জামিয়া কাসিমিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মাহমুদুল হাসান, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি মাওলানা নুরুল ইসলাম, মডেল মসজিদের ইমাম মুফতি শামীম আহমেদসহ বিভিন্ন আলেম ও ইসলামি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বক্তারা অভিযোগ করেন, ৭ এপ্রিল গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে মোহনগঞ্জ পৌর এলাকায় আয়োজিত বিক্ষোভে আলেমদের সঙ্গে ইলিয়াস হোসাইন আরাবির বিরোধ সৃষ্টি হয়। এরপর থেকেই একের পর এক হামলার শিকার হচ্ছেন আলেমরা। মাওলানা শুয়াইব বিন মুজিব, মাওলানা তোফালে আহমেদ হাবিবীর ওপরও সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বক্তারা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা দিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেপ্তার না করা হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঘটনার পর থেকে মোহনগঞ্জের ধর্মীয় মহলে উত্তেজনা বিরাজ করছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।