মোহনগঞ্জে ক্লুলেস হত্যাকান্ডের রহস্যভেদ, মোটরসাইকেলসহ মূল আসামি গ্রেফতার

প্রকাশিত: ১০:৩৭ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ১৫, ২০২৪

নেজা ডেস্ক রিপোর্টঃ
নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জে অজ্ঞাত যুবকের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটন করে নিহতের পরিচয় সনাক্ত ও হত্যাকাণ্ডে জড়িত একজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (১৫ মার্চ) সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লুৎফর রহমান।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, নিহত যুবকের নাম সাইফুল ইসলাম। তিনি ঢাকার মিরপুরে থাকতেন এবং ভাড়ায় মোটিরসাইকেল রাইড শেয়ারিং করতেন। গত ১৩ মার্চে সাইফুল ঢাকা থেকে তার নিজের মোটরসাইকেল ভাড়ার চুক্তিতে মাসুক ও ফয়সাল নামে দুই জন ব্যক্তিকে নেত্রকোণা নিয়ে আসে। পরের দিন (বৃহস্পতিবার) উপজেলার তেতুলিয়া ইউনিয়নের হানবীর গ্রামের তেল্লা বালুচরে চালক সাইফুল এর গলাকাটা ও মুখমণ্ডল আগুনে পোড়া লাশ পাওয়া যায়।

পরবর্তীতে মোহনগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাত লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করে এবং ফিংগার প্রিন্ট এর সহায়তায় ভিক্টিমের পরিচয় সনাক্ত করে। একই সাথে আসামী গ্রেফতার ও আলামত উদ্ধারে তৎপর হয়।

থানা পুলিশের তৎপরতায় এবং তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় হত্যাকান্ডের ঘটনার সাথে জড়িত অন্তর আহমেদ শান্ত (২১) কে আটক করা হয় এবং অন্তরের বাড়ি থেকে ভিক্টিমের মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। অন্তর জেলার খালিয়াজুরী উপজেলার চাকুয়া ইউনিয়নের হারারকান্দি, সুলতানপুর গ্রামের ছালেক মিয়ার ছেলে।

আটক অন্তরকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের নাম প্রকাশ করে।

অন্তরকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও জানা যে, সে এবং ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীরা গত ১০ দিন যাবত একটি মোটরসাইকেল হস্তগত করার জন্য পরিকল্পনা করতে থাকে। পরবর্তীতে আটক অন্তর ও অন্যান্য আসামীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা থেকে ভিক্টিমের মোটরসাইকেল ভাড়া নিয়ে এসে একে অপরের যোগসাজশে ভিক্টিমকে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতার এর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।