মোহনগঞ্জে গাছপালা কেটে বাড়ি দখলের চেষ্টা, গৃহবধূকে মারধরের অভিযোগ
মোঃ কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে বহিরাগত লোকদের এনে এক ব্যক্তির বাড়ি দখলের চেষ্টা চালিয়ে বাড়িতে থাকা গাছপালা কেটে নিয়েছে প্রতিবেশী কয়েকজন।
এসময় বাধা দেওয়ার গৃহবধূকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর স্বামী মুর্শিদ কুলি খান থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
এরআগে গত ১৬ আগস্ট উপজেলার কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আজ বুধবার মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কমলপুর গ্রামের মুর্শিদ কুলি খানের বাড়ির একাংশ দীর্ঘদিন ধরে দখলের চেষ্টা করছে প্রতিবেশী খাদিজা আক্তার ও তার ছেলে কাউছার মিয়া। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ আগস্ট বহিরাগত ১৫/২০ জন লোক নিয়ে মুর্শিদ কুলির বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় তারা বাড়িতে থাকা সুপারিগাছসহ অন্যান্য ২৫-৩০টি গাছ কেটে নিয়ে যায়। এসময় বাধা দিলে মুর্শিদ কুলির স্ত্রী মুক্তামনিকে মারধর করে আহত করে। পরে তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এদিকে ওই বাড়ির জায়গা নিজের দাবি করে খাদিজা আক্তারও ভুক্তভোগীদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সেনা ক্যাম্পে অভিযোগ দিয়েছেন।
মুর্শিদ কলির স্ত্রী মুক্তামনি জানান, সেদিন তারা বহিরাগত ১৫/২০ জন লোক নিয়ে বাড়িতে হামলা চালায়। এসময় বাড়িতে পুরুষ কেউ ছিল না। তারা নির্বিচারে গাছ কেটে নিয়ে যায়। বাধা দিতে গেলে তারা আমাকে বেধরক পিটিয়ে আহত করে।
মুর্শিদ কুলি খান জানান, আমাদের নামে জমি ১৯৭২ সনে ক্রয়ের কাগজপত্র রয়েছে। অথচ তারা জোর করে সেটা দখল করে নিতে চাইছে। বহিরাগত লোক নিয়ে তারা হামলা চালিয়ে গাছপালা কেটেছে, আমার স্ত্রীকে মারধর করে আহত করেছে। থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
এদিকে অভিযুক্ত খাদিজা আক্তার বলেন, জমির বিষয়টি মিমাংসা করার জন্য কাগজপত্র নিয়ে গ্রামের লোকজন বসতে চেয়েছিল। তারা এতে সারা দেয়নি। কাগজপত্রে ওই জমিটি আমার। গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, বহিরাগত লোকজন নয় সমস্যার কথা শুনে আমার আত্মীয়-স্বজনরা এসেছিল।
ওসি বলেন, ঘটনা তদন্ত করা হচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।