মোহনগঞ্জে ঝগড়ায় আহত যুবকের ১৩ দিন পর মৃত্যু

প্রকাশিত: ২:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৩, ২০২৩
ছবি- মেয়ে কোলে নিয়ে নিহত সনু মিয়া

কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে জমি বিরোধে প্রতিপক্ষের রামদার কোপে আহত সনু মিয়া (৩৪) নামে এক যুবক ১৩ দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে।

গতরাত ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তাঁর মৃত্যু হয়। এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর তাঁকে কুপিয়ে আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

সনু মিয়া উপজেলার কমলপুর গ্রামের শান্ত মিয়া ওরফে আব্দুর রহমানের ছেলে। সনু মিয়ার দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

এ ঘটনায় সনু মিয়ার ছোট ভাই মো. সুজন মিয়া বাদী হয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থানার হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেন। এতে একই গ্রামের জাহের উদ্দিনের তিন ছেলে সাইকুল, তরিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলাম সহ তাদের পরিবারের আট জনকে আসামি করা হয়।
পরে পুলিশ ওই তিন ভাইকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরমধ্যে শফিকুল ইসলাম জামিনে বের হন। আর বাকি দুইজন এখনো কারাগারে রয়েছেন। এছাড়া মামলার অন্য পাঁচ আসামি আদালত থেকে জামিন নিয়েছেন।

শনিবার বিকালে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জসিম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কমলপুর গ্রামের আব্দুর রহমান ও জাহের উদ্দিনের পরিবারের সাথে জমি সংক্রান্ত পুরোনো বিরোধ রয়েছে। গত ৯ ডিসেম্বর বাড়ির পাশের একটি ধান খেতের আইল নিয়ে নিয়ে ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। এতে জাহের উদ্দিনের তিন ছেলে ও নাতীসহ পরিবারের ১০-১২ জন রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আব্দুর রহমান ও তার ছেলের ওপর হামলা চালায়। এতে আব্দুর রহমান, তার ছেলে সনু মিয়া ও অনু মিয়া গুরুতর আহত হয়। তবে রামদার কোপে গুরুতর জখম সনু মিয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে মমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ক্রমে অবস্থার অবনতি হলে এক পর্যায়ে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। শেষে শুক্রবার রাত পৌনে বারোটার দিকে সনু মিয়ার মৃত্যু হয়।

মামলার বাদী সুজন মিয়া শনিবার দুপুরে জানান, রামদার কোপে সনু মিয়ার কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তাই শত চেষ্টাও তাকে বাঁচানো গেল না। তবে হত্যাকারীরা এখনো আমাদের হত্যার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলার স্বাক্ষীদেরও ভয় দেখাচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্ত শেষে বিকেলে বাড়ি নিয়ে আসা হবে। এখনো কার্যক্রম শেষ হয়নি। হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তিনি। তবে চেষ্টা করেও অভিযুক্তদের কারো বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক( এসআই) জসিম উদ্দিন বলেন, আগের মামলাটি এখন হত্যা মামলায় রুপ নেবে। এ বিষয়ে তদন্ত করে যথাযথ সময়ে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হবে।