মোহনগঞ্জে বল্লমের আঘাতে মাহতাব জখম, দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩
কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের গাগলাজুর এলাকায় পূর্ববিরোধের জেরে এক ব্যবসায়ীকে টেঁটা ও বল্লমে আঘাতে গুরুতর জখমের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় করা মামলায় তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাঁদের কাছ থেকে এক ডজনের বেশি টেঁটা ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার বিকালে মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি ) মো. দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে শুক্রবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়ি গ্রাম থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী হলেন, উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়ি গ্রামের মৃত হাজী দেওয়ান আলীর ছেলে মাহতাব মিয়া (৫২)।
আর গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, একই গ্রামের মো. হক্কু মিয়া (৬০), তার ছেলে মো. মাসুক মিয়া (৩২) ও মো. কায়েস মিয়া ওরফে ময়না মিয়া (৩০)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের মান্দারবাড়ি গ্রামের ব্যবসায়ী মাহতাব মিয়ার সাথে প্রতিবেশী হক্কু মিয়া ও তার ছেলেদের সাথে নানা বিষয় নিয়ে পূর্ব বিরোধ রয়েছে।
গত মঙ্গলবার বিকেলে তার ঐ জের ধরে বাড়িতে প্রতিপক্ষের ৭-৮ জন লোক ঢুকে মাহতাব মিয়ার ওপর হামলা চালায় । এসময় মাহতাব মিয়ার দুই পায়ে টেঁটা ও বল্লম দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। এ সময় মাহতাবের চিৎকারে আশপাশের লোকজন চলে এলে হামলাকারী মাসুক, কায়েসসহ অন্যরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
পরে টেঁটা বিদ্ধ অবস্থায় মাহতাবকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোহনগঞ্জ হাসপাতালে আহত মাহতাব মিয়া মোহনগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন ।
পরে এ ঘটনায় দুই দিন পর বৃহস্পতিবার রাতে ভুক্তভোগীর ছেলে রাফা আহমেদ বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। এতে হক্কু মিয়া, তার ছেলে মাসুম মিয়া ও ময়না মিয়াসহ ৭জনকে আসামি করা হয়। পরে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় থানা পুলিশ। এসময় এক ডজনের বেশি টেঁটা ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
তিনি আরও বলেন, আসামিরা মূলত এলাকার দাঙ্গাবাজ লোক। মারামারি করার জন্য এরা বাড়িতে টেঁটা-বল্লম জমা রাখে। অভিযানে এক ডজনের বেশি টেঁটা ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।