
কামরুল ইসলাম রতন:
নেত্রকোণা জেলার মোহনগঞ্জ পৌরসভার সুকুমার চন্দ্র রায় নামে এক ব্যক্তির বাড়ির দেয়াল ভেঙে ভেতরে থাকা লোহার রড নিয়ে যায় প্রতিবেশী রাজ কিশোর রায় (২০) নামে এক যুবক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর ভাগ্নে জনি চন্দ্র রায় থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ঐ রাতেই। শুক্রবার মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শুভ্র দে এ অভিযোগ প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গত সোমবার (২৩ জানুয়ারি) আনুমানিক রাত ১১টায় পৌর শহরের দক্ষিণ দৌলতপুর শেখবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত রাজ কিশোর রায় একই এলাকার রথীন্দ্র কিশোর রায়ের ছেলে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সূত্র জানা গেছে, বাড়ির মালিক সুকুমার চন্দ্র রায় চাকুরির সুবাধে ঢাকা বসবাস করেন। সে কারণে তার ভাগ্নে জনি চন্দ্র রায় মামার বাড়িসহ জমিজমা দেখাশোনা করেন।
গত সোমবার সুকুমার চন্দ্র রায়ের বাড়ির দেয়াল ভেঙে ফেলে দেয় রাজ কিশোর রায়। এ সময় বাড়ির ভেতরে থাকা ২৮০ কেজি রড নিয়ে যায়। এ বিষয়ে জিজ্হাসা করতে গেলে জনি চন্দ্র রায়কে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে।
পরে এ ঘটনায় বিচার চেয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন জনি চন্দ্র রায়। ঘটনা ঘটার এক ঘন্টার মধ্যেই মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ রফিকুল ইসলাম সঙ্গীও পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। ওয়াল ভাঙ্গার দৃশ্য প্রত্যক্ষ করেন।
এ সময় বিআরডিবি চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল আলম শেখ, মিডিয়া কর্মী সহ এলাকাবাসী এক দুইজন উপস্থিত ছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করার জন্য শুভ্র দে কে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি পরের দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দেয়াল ভাঙ্গার ঘটনার সত্যতা পান। এ বিষয়ে জানতে রাজ কিশোর রায়কে পাওয়া যায়নি।
তবে তার বাবা রথীন্দ্র কিশোর রায় জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যে। আমার ছেলে এমন কিছুই করেনি। সুকুমার চন্দ্র রায় আমার জায়গায় দেয়াল তুলেছে। আমার ছেলে এর প্রতিবাদ করেছে। স্থানীয় মেয়রের কাছে বিচার দিয়েছি। দেয়াল ভাঙেনি।
ওয়ার্ড কাউন্সিলার ও প্যানেল মেয়র আব্দুর রাজ্জাক জানান, সুকুমার চন্দ্র রায় পৌরসভার অনুমতি নিয়ে নিয়ম মেনে তার জায়গায় কাজ শুরু করেছে। কাজ শুরু করার আগে আমি ও বিআরডিবি চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল আলম শেখসহ এলাকার গন্যমান্য বেশ কয়েকজন লোক নিয়ে জায়গা মাপা হয়েছে। আমার জানামতে সুকুমার বাবু সঠিক জায়গায় ওয়াল করেছেন। ওয়াল ভাঙ্গা ঠিক হয়নি।
মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শুভ্র দে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। শুনেছি স্থানীয়ভাবে বিষয়টি মিমাংসা করা হবে। যদি মিমাংসা না হয় তবে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে বারহাট্টা সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ সাইদুর রহমানকে বিষয়টি অবহিত করা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখবেন বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন।