মোহনগঞ্জে যুবককে কুপিয়ে জখম, বাসায় হামলা-লুটপাট, ভয়ে এলাকা ছাড়া পরিবার

প্রকাশিত: ৬:৩৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১, ২০২৪

মোঃ কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জের আবাসিক এলাকায় প্রতিবাদ করায় এক যুবককে কুপিয়ে জখমের পর বাসায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে।

এতে রামদার কোপে ওই যুবকের হাত কেটে গুরুতর জখম হয়েছে। পাশাপাশি বাসায় হামলা চালিয়ে দরজার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে নগদ টাকা, স্বর্নালংকার, ফ্রিজসহ নানা আসবাবপত্র নিয়ে যায় তারা।

এ ঘটনায় পৌরশহরের মাইলোড়া এলাকার বাসিন্দা মৎস্য আড়ত ব্যবসায়ী মোঃ সুলতান মিয়া তালুকদার বাদী হয়ে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন।

রোববার (১ ডিসেম্বর) মোহনগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

ওসি (তদন্ত) শফিকুজ্জামান বলেন, ৯৯৯ কল দেওয়ার পর এস আই আব্দুল কাদের তদন্ত করেছেন। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে পৌরশহরের মাইলোড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

অভিযুক্তরা হলেন, মাইলোড়া এলাকার মো. মোস্তাক মিয়া (৫৫) লিমন মিয়া (৩০) ও দেওথান এলাকার রুমান মিয়া (৩১)।

ভুক্তভোগীরা হলেন, মাইলোড়া এলাকার মো. সুলতান মিয়া তালুকদার, তাঁর ছেলে ইমরান মিয়া ও মিল্টন মিয়া।

ভুক্তভোগী মোঃ সুলতান মিয়া তালুকদারের অভিযোগে জানান, প্রতিবেশী মোস্তাক মিয়ার বাসায় ভাড়ায় বসবাস করছিল লিমন মিয়া। খবর নিয়ে জানতে পারি লিমন একজন বাসায় মাদক ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। এসব কারণে লিমনকে তার এলাকা থেকে লোকজন তাড়িয়ে দিয়েছে। এই কথাই মোস্তাকে জানাই। বিষয়টি জানতে পেরে লিমন ও তার সঙ্গীরা আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়। গত ২৭ নভেম্বর মধ্যরাতে প্রথমে মোস্তাকের বাসায় ঝামেলা শুরু করে লিমন, রুমান সহ অন্যরা। চিৎকার শুনে এগিয়ে যায় আমার ছেলে মিল্টন। তখনি রামদা নিয়ে মিল্টনকে তাড়া করে কুপিয়ে জখম করে। মিল্টনকে টেনে বাসার ভেতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলে তারা বাসায় হামলা চালায়। এক পর্যায়ে দরজার ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। পরিবারের পুরুষ সদস্যরা রান্না ঘরের পেছনে টিন খুলে পালিয়ে গিয়ে আত্মরক্ষা করি। নারীরা ঘরের ভেতর খাটের নিচে ঢুকে যায়।

অভিযোগে তিনি আরও জানান, পরে তারা ঘরে ঢুকে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। পাশাপাশি ঘরে থাকা মাছের আড়তের ব্যবসার ৪ লাখ ২০ হাজার টাকা, তিন ভরি স্বর্নালংকার, ঘরের ফ্রিজ, গ্যাসের চুলাসহ নানা আসবাবপত্র নিয়ে যায়। যাবার সময় আমাদেরকে হত্যার হুমকি দিয়ে গেছে।

ভুক্তভোগী সুলতান মিয়া বলেন, হামলাকারীরা ভয়ংকর ধরণের মানুষ। তাদের বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা রয়েছে। তাদের ভয়ে বাসা ফেলে গ্রামের বাড়িতে চলেগেছি। শহরে আসতে পারছি না। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ দিয়েছি কিন্তু মামলাও হচ্ছে না। খুব বিপদে আছি।

অভিযুক্তদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।