মোহনগঞ্জে শসা তুলতে বাঁধা দেওয়ায় বাড়ি ঘরে হামলা-ভাঙচুর, আহত ৯

প্রকাশিত: ২:৪৫ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৪, ২০২৪

মোঃ কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে শসা তুলতে বাধা দেওয়ায় বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এসময় ৯ জন আহত হয়েছেন।

তাদের মধ্যে গুরুতর একজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সোমবার ( ১৪ অক্টোবর ) সকালে উপজেলার ১ নং বড়কাশিয়া বিরামপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় রফিকুলের ভাতিজা আল ফারুক, সবুজ মিয়া ও ফুলচানসহ ৯জন আহত হন।

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেলে পাশের বাহাম গ্রামের ফারুক, রফিক ও রাহুলসহ কয়েকজন আমাদের খেতের শসা অনুমতি ছাড়াই তুলে ব্যাগে করে নিয়ে যাচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় আমার ভতিজা আল ফারুককে পিটিয়ে জখম করে।

সোমবার সকালে ফের শতাধিক লোক জন দল বেঁধে বাড়িতে এসে হামলা চালায়। রামদাসহ দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ঘরের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। দরজা জানালা কুপিয়ে কেটে ফেলে। আলমিরাতে থাকা দুই লাখ টাকাও নিয়ে যায়। এ সময় আরও ৭ জনকে কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে বলেও জানান তিনি।

পার্শ্ববর্তী গোলাম মোস্তফার বাড়িতে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। রফিকুলের ভাই আ. আলীম বলেন, কিছু না বলেই তারা আমাদের শসা নিয়ে যাচ্ছিল। বাধা দেওয়ায় আমার ছেলেকে ব্যাপক মারধর শুরু করে। সকালে বিশাল দল বেধে এসে বাড়িতে হামলা চালায়। ঘরের দরজা-জানালা, আসবাবপত্র, ফ্রিজ ও ট্রাক্টর মেশিনসহ হাতের কাছে যা পেয়েছে সবকিছু কুপিয়ে কেটে ফেলেছে। যারা বাধা দিয়েছে বা ফেরাতে গিয়েছে সবাইকে কুপিয়েছে। আমরা এর বিচার চাই।

ঘটনার পর পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেনাবাহিনীর সদস্যরা হামলাকারী তিনজনকে আটকের খবর পাওয়া গেলেও বিষয়টি নিশ্চিত করা যায়নি। তবে এ বিষয়ে জানতে প্রতিপক্ষের ফারুক, রফিক ও রাহুলসহ কাউকেই পাওয়া যায়নি।

মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আমি পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি । সেনাবাহিনী খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন । অভিযোগ প্রাপ্তি সাপেক্ষে এ বিষয়ে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নেওয় হবে।