মোহনগঞ্জে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে স্কুলছাত্রের অবস্থা সংকটাপন্ন

প্রকাশিত: ৯:৪১ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৫, ২০২৪

মোঃ কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে সহপাঠীদের ছুরিকাঘাতে পারভেজুল হক ফাহিম (১৬) নামে এক স্কুলছাত্র গুরুতর জখম হয়েছে। তার পিঠে ও বুকে ছুরি দিয়ে চারটি আঘাত করা হয়েছে।

তাকে উদ্ধার করে মোহনগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, তারপর ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফাহিম মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র। সে উপজেলার ধীতপুর গ্রামের জামাল মিয়ার ছেলে।

আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) বেলা সোয়া ১২ টার দিকে বিদ্যালয় গেটে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।

ফাহিমের বাবা জামাল মিয়া জানান, গ্রামের বাড়ি থেকে গিয়েই স্কুলে পড়াশোনা করে ফাহিম। গতকাল সোমবার স্কুলে সহপাঠীদের সাথে সামান্য বিষয় নিয়ে দ্বন্দ্ব হয়। সিনিয়রদের মাধ্যমে এদিনই দ্বন্দ্ব মিটমাট হয়ে যায়। তবে মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১২ টার দিকে পরীক্ষা শেষে স্কুলের গেটে অবস্থান করছিল ফাহিম। এসময় কয়েকজন সহপাঠীসহ ১০-১৫ জন তাকে ঘিরে ধরে। এক পর্যায়ে ছুরি দিয়ে ফাহিমের পিঠে ও বুকে চারটি আঘাত করে চলে যায় তারা। পরে শিক্ষক ও অন্য সহপাঠীরা মিলে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ফাহিমকে দ্রুত মমেক হাসপাতালে পাঠান চিকিৎসক।

জামাল মিয়া আরও জানান, বর্তমানে ফাহিমের অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। এখনো বলা যাচ্ছে না কি হয়। এ ঘটনার বিচার চান তিনি। চিকিৎসা শেষে এলাকায় গিয়ে এ ঘটনায় থানায় মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।

মমেক হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন ফাহিম মোবাইল ফোনে জানায়, গতকাল সামান্য একটা বিষয় নিয়ে কয়েকজন সহপাঠীর সাথে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। পরে অবশ্য আলোচনা করে সেটা মিটমাট হয়েছিল। কিন্তু আজকে পরীক্ষা শেষে গেটে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় দুইজন পরিচিত সহপাঠী তাদের সাথে আরও ১০-১৫ জন মিলে আমার ওপর হামলা চালায়। পিঠে তিনটা ও বুকে একটাসহ মোট ছুরি দিয়ে চারটা আঘাত করেছে। বুকে ব্যাথার কারণে আর কথা বলতে পারেনি ফহিম।

তার আত্মীয় ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী স্বাধীন বলেছেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬ নং ওয়ার্ডের ভর্তি আছে। রক্তক্ষরণ বন্ধ হচ্ছে না। স্যালাইন চলমান। রাত নয়টার সময় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুজ্জামান ইদ্রিছী বলেন, ঘটনার পর ওই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। আমি সহ শিক্ষকরাও সেখানে গিয়েছিলাম। শরীরের সামনের আঘাতগুলো ঝুঁকিপূর্ণ মনে করে চিকিৎসক তাকে মমেক হাসাপাতালে রেফার্ড করেছেন। পরিবারের সাথে সাথে কথা বলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।