
কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে স্বাভাবিক প্রসব সেবা জোরদারকরণ বিষয়ে অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এসব কেন্দ্রে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মীদেরকে সাধারণ মানুষের আস্থা অর্জন করে বাড়িতে অনিরাপদ প্রসব বন্ধে কার্যকর ভূমিকা গ্রহণ করা যেন মানুষ স্বাস্থ্যকেন্দ্র গিয়ে প্রসব সেবা নিতে আগ্রহী হয়। এসব স্বাস্থ্য কেন্দ্রের বর্তমান কার্যক্রমের বিষয়ে আলোচনার পাশাপাশি আগামীতে অনিরাপদ প্রসব শূন্যর কোটায় নিয়ে আসার ব্যাপারে আলোচনা করেন বক্তারা।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়াম কাম মাল্টিপারপাস হল রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ছাব্বির আহমেদ আকুঞ্জির সভাপতিত্ব করেন। উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর এর আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, নেত্রকোণা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু দাম, বিশেষ অতিথি হিসেবে এমসিএইচ-এর উপ-পরিচালক ও পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (মাতৃস্বাস্থ্য) জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, সহাকরী পরিচালক ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আ. ন. ম মোস্তফা কামাল মজুমদার, সহকারী পরিচালক ডাঃ বাবুল চন্দ্র সরকার।
অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মাহমুদা খাতুন, ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণের মধ্যে মোঃ মোতাহার আলম চৌধুরী, সোহাগ তালুকদার, শফিকুল ইসলাম চৌধুরী জহুর, আবু বকর সিদ্দিক হাবলু, আমিনুল ইসলাম চৌধুরী সোহেল, হাবিবুর রহমান হাবিব, মোহনগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম রতন, সাধারণ সম্পাদক মাসুম আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
উপজেলার বিভিন্ন বিভাগীয় কর্মকর্তা, মহিলা মেম্বার, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে কর্মরত স্বাস্থ্যকর্মী ও সাংবাদিকবৃন্দসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
সেইসাথে সেবার মান ও স্বাস্থ্যকর্র্মীদের উপস্থিতি না থাকা নিয়ে আলোচনা করেন। স্বাস্থ্যকর্র্মীরা কেন্দ্রে বসবাস করার কথা থাকলেও তারা সেখানে থাকেন না। এমনকি ঠিক মতো অফিস না করলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বক্তব্যের নির্দেশ প্রদান করেন।
পরে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক নিরঞ্জন বন্ধু দাম বলেন, আগামী দিনে ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার জন্য মান সম্মত কক্ষ তৈরি করা হবে। সেবার মান তদারকি করা হবে। জনপ্রতিনিধিদের সাথে পারমর্শ করে সাধারণ মানুষকে যেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে নিরাপদ প্রসবে উদ্বুদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে পরামর্শ দেন। সেবার মান বাড়িয়ে বাড়িতে অনিরাপদ প্রসবের কোটা শূণ্যতে আনা হবে বলেও জানান তিনি।