মোহনগঞ্জে হিন্দু ভোটারদের মারধরের অভিযোগে চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে মানববন্ধন

প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, মে ৩০, ২০২৪

কামরুল ইসলাম রতনঃ
উপজেলা নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে রেখে অন্য প্রার্থীর প্রচারণা করায় চার হিন্দু ভোটারকে হুমকি ও মারধর করেছেন এক ইউপি চেয়ারম্যান। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও বিচার চেয়ে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (৩০ মে ) বিকাল পাঁচটার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নে বানিয়াহারী বাজারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে অভিযুক্ত বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদারের বিচার দাবি করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধনে নারী-পুরুষসহ এলাকার তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেয়। এছাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ তাদের সাথে যোগ দেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান মো. শহীদ ইকবাল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওয়াজ উদ্দিন, প্রভাষক বিপ্লব রায় , উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মামুন, হিন্দু, বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি অমল সরকার, সাধারণ সম্পাদক বিমল চন্দ্র পাল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক দিপক বণিক, উপজেলা সে¦চ্ছাসেব লীগের সহ-সভাপতি রায়হান সিদ্দিকী ফারুক, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আল আমিন রানা, প্রমুখ।

মারধরের শিকার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের সুতারপুর গ্রামের পলাশ আচার্য, ও নির্মল আযার্চ, গাজীনগর গ্রামের অরুণ চন্দ্র দে ও প্রীতুষ চন্দ্র শীল।

মারধরের শিকার ব্যক্তিরা জানান, ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার উপজেলা নির্বাচনে আনারস প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা শুরু করেন। আর ওই চারজন ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা করেন। এতে চেয়ারম্যান তাদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিল। গত বুধবার (২৯ মে) অনুষ্ঠিত নির্বাচনের দিন ওই চারজন নিজেদের গ্রামের কেন্দ্র ভোট দিতে গেলে চেয়ারশ্যান তাদেরর ওপর চড়াও হন। হুমকি ধমকি দিয়ে তাদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেন। এর প্রতিবাদ করলে চেয়ারম্যান তার লোকজনসহ ওই চারজনকে মারধর করে আহত করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকাবাসীসহ উপজেলার হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতৃবৃন্দ ক্ষিপ্ত হন। এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার বড়তলী-বানিয়াহারী ইউনিয়নের বানিয়াহারী বাজারে এ মানববন্ধন করে এলাকাবাসী। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগ এর অঙ্গসংগঠনসহ হিন্দু,বৌদ্ধ খ্রিষ্ঠান ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বক্তরা মানববন্ধনে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এটি একটি নজিরবিহীন ঘটনা। আমাদের এলাকায় সকল ধর্মের লোকজন একত্রে বসবাস করে আসছি। কিন্তু চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার হিন্দুদের মারধর করে এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি নষ্ট করেছেন। এ ঘটনায় তার বিচার দাবি করেছেন। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনা সমাধান না করলে তাকে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন তারা।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান সোহাগ তালুকদার বলেন, নির্বাচনের দিন আমি কাউকে মারধর করিনি। আমাকে হেয় করার জন্যই ষড়যন্ত্র করে মিথ্যা গল্প সাজানো হয়েছে।