মোহনগঞ্জ আপন বোনের টাকা ছিনতাই
মোঃ কামরুল ইসলাম রতনঃ
মেয়ের বাড়ি থেকে গরু কেনার জন্য টাকা নিয়ে মোহনগঞ্জের গ্রামের বাড়ির উদ্দেশে যাওয়ার সময় ছিনতাইকারীর কবলে পড়েন নাজমা আক্তার নামের এক নারী। নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌরশহরে টেংগাপাড়া এলাকায় মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তার পথরোধ করে তার হাতে ছুরিকাঘাত করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় চার ছিনতাইকারী। তবে তাদের দেখে চিনতে পারেন নাজমা। ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার উপজেলার সমাজ-সহিলদেও ইউনিয়নের হাছলা গ্রামের মৃত নবাব মিয়ার মেয়ে।
তিনি জানান, ওই চারজনের দুইজন তার সহোদর ভাই অপর দুইজন সৎ ভাই। এ ঘটনায় চার মামার বিরুদ্ধে মোহনগঞ্জ থানায় অভিযোগ দিয়েছেন ভাগ্নে মুশফিকুজ্জামান ইফাত ।
আর অভিযুক্তরা হলেন, মৃত নবাব মিয়ার ছেলে শফিক মিয়া (৩৫), আনিছুর রহমান (৪৫), মুশফিকুর রহমান (৩৮) ও বাবু মিয়া (৩৭)।
বৃহস্পতিবার বিকেলে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. দেলোয়ার হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, মহিলার এক ছেলে একটি আবেদন করেছেন। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অভিযোগ, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাজমা মঙ্গলবার নেত্রকোনা শহরে তার মেয়ের থেকে গরু কেনার দুই লাখ টাকা নেন। এসময় তার ছেলে ও ওই চার ভাই পাশে ছিল। টাকা নিয়ে সন্ধ্যায় বাসে করে মোহনগঞ্জের উদ্দেশ্য রওনা করেন নাজমা। সাথে ছেলে ও চার ভাইও আসেন। রাত পৌনে ৮টার দিকে মোহনগঞ্জ পৌরশহরে নেমে অটোরিকশাতে ওঠার সময় নাজমার হাতে ছুরিকাঘাত করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেয় ওই চার ভাই। এসম ব্যাগে থাকা সোনার চেইনও নিয়ে যায়। তার সাথে থাকা ভাইয়েরা ছিনতাইকারী এটা দেখে চমকে যান নাজমা। মাকে বাঁচাতে গেলে মুশফিকুজ্জামান ইফাতকেও কিল ঘুষি দিয়ে আহত করে চলে যান ওই চারজন। পরে নাজমাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাজমার ছেলে মুশফিকুজ্জামান ইফাত বাদী হয়ে তার চার মামার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
ভুক্তভোগী নাজমা আক্তার জানান, মেয়ের কাছ থেকে গরু কেনার জন্য দুই লাখ টাকা নিয়ে আসি। টাকা নেওয়ার সময় আমার ছেলে ও চার ভাই সাথে ছিল। টাকাগুলো ও সোনার চেইন একেই ব্যাগে রেখে সবাই একসাথে বাড়ির উদ্দেশ্য রওনা দেই। মোহনগঞ্জ পৌছেই চারভাই আমার ব্যাগ নেওয়ার জন্য টানাটানি শুরু করে। বাধা দিতেই হাতে ছুরিকাঘাত করে ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়। আমার অপর ছেলে তাদের আটকাতে গেলে তাকেও কিল ঘুষি মেরে আহত করে চলে যায়।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত চারজন পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
ছবি- নাজমা আক্তার