মোহনগঞ্জ থানায় আটক মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়াতে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে তদবির
মোঃ কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোণার মোহনগঞ্জে ইয়াবা ও হেরোইনসহ দুই পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।
আটকের পর ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে স্থানীয় কয়েকজন তাদের ছাড়ানোর জন্য তদবির নিয়ে থানায় জড়োহয়। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়৷ পরে মোহনগঞ্জের বিএনপি নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকা থেকে তাদের ইয়াবা ও হেরোইনসহ আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ১০ পিস ইয়াবা ও ১ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন, পৌরশহরের টেংগাপাড়া এলাকার শাহীন খান পাঠান ওরফে রেনু পাঠান (৫২) ও দেওথান এলাকার তফছির মিয়া (৩৭)।
এরমধ্যে তফছির মিয়ার বিরুদ্ধে ১৩টি ও রেনু পাঠানের বিরুদ্ধে ৭টি মাদকের মামলা রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সামিউল হাসান সুমন জানান, মাদক কেনা-বেচার গোপন খবরে বৃহস্পতিবার রাতে পৌরশহরের বার্ত্তারগাতী এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় সেখানে ওই দুইজনকে পেয়ে তাদের তল্লাশি করে ১০ পিস ইয়াবা ও ১ গ্রাম হেরোইন পাওয়ার পর তাদের আটক করা হয়।
মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আটক দুই মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড়িয়ে নেওয়ার আবদার নিয়ে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে ১০/১২ যুবক আজ শুক্রবার সকালে এসেছিল। মাদকের বিরুদ্ধে কোন আপোষ নেই বলে তাদের জানিয়ে দেওয়া হয়। মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে । তিনি আরো বলেন মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। মাদক বিরোধী অভিযান আরো জোরদার করা হবে। ওসি আরও বলেন, ওই দুই মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে আজ শুক্রবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সেলিম কার্ণায়েন বলেন, ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দিয়ে কিছু পোলাপান মাদক ব্যবসায়ীদের থানা থেকে ছাড়াতে গিয়েছিল। ওরা মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগী, কোন ছাত্র সমন্বয়ক নয়। খবর শুনে আমরা কয়েকজন নেতা দ্রুত থানায় গিয়ে ওই পোলাপানদের বিদায় করে দেই। বিষয়টা খুবই বিব্রতকর। উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে আমাদের সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হব। তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করতে হবে। যেকোন পরিচয় নিয়ে তদবির করলেও মাদকের বিষয়ে আপোষ করার সুযোগ নেই।