মোহনগঞ্জ থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে রেজিস্ট্রি চিঠি পৌঁছে একমাসে
কামরুল ইসলাম রতনঃ
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা পোস্ট অফিস থেকে তিন কিলোমিটার দূরত্বে একটি রেজিস্ট্রি চিঠি পৌছতে সময় লেগেছে পুরো এক মাস। বিলম্বে রেজিঃ চিঠি বিতরণের বিষয়টি এলাকায় জানজানি হলে নানা সমালোচনার ঝড় ওঠে এবং জনমনে নানা সন্দেহের সৃষ্টি হয়।
ডাক বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত ৩ আগস্ট নেত্রকোনা শহরের কোর্ট পোস্ট অফিস থেকে ৭৫১ নং চিঠি রেজিস্ট্রি করা হয়। বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে ওই চিঠি পাঠানো হয়। চিঠির গন্তব্য বারহাট্টা উপজেলার সিংধা ইউনিয়নের আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ৭ আগস্ট চিঠিটি মোহনগঞ্জ উপজেলা ডাকঘরে এসে পৌছে। কিন্তু সেই চিঠি তিন কিলোমিটার দূরত্বের ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ৭ সেপ্টেম্বর স্বাক্ষর দিয়ে গ্রহণ করেন।
এত স্বল্প দূরত্বে একটি চিঠি পৌছতে এক মাস সময় লাগায় পোস্ট অফিসে কর্মরতদের দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ তুলেছেন শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা।
বারহাট্টা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চাওয়ার বিষয়ে আশিয়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে ওই চিঠিতে জানানো হয়েছিল। দেরিতে চিঠি পাওয়ায় তিনি এর জবাব দিতেও দেরি করেছেন। তবে পোস্ট অফিসের এমন গাফিলতি দুঃখজনক।
গণমাধ্যম সিনিয়র কর্মী মোঃ কামরুল ইসলাম রতন বলেন, একটি রেজিস্ট্রি চিঠি তিন কিলোমিটার দূরে পৌছাতে এক মাস সময় লেগেছে। এটা অবিশ্বাস্য ঘটনা। গ্রহণকারী না পেলে চিঠি ফেরত যাবে কিন্তু এমন হওয়ার কথা নয়। এটি পোস্ট মাস্টার ও পিয়ন সহ সংশ্লিষ্ট সবার গাফিলতি রয়েছে প্রমাণ হয় । এতে ডাক বিভাগের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার মো. ওবায়দুল হক জিকু বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। পিয়ন চিঠি নিয়ে যথা সময়ে গিয়েছিল কিন্তু ওই প্রধান শিক্ষককে বিদ্যালয়ে পাননি। পরে ফোনে প্রধান শিক্ষক জানান, চিঠিটি পরে আমি অফিস থেকে নিয়ে যাব। পরে প্রধান শিক্ষক ইচ্ছে করে তিনি নিতে দেরি করেছেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রধান ডাক ঘরের পোস্ট মাস্টার শাহেদুন্নাহার বলেন, এমন দুই একটি ঘটনা ডাক বিভাগের জন্য বিব্রতকর। যেহেতু অবহিত করেছেন তা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।