
নেজা ডেস্ক রিপোর্ট :
দেশের সবচেয়ে বড় বাউলগানের রিয়েলিটি শো ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা ২০২২’-এর গ্র্যান্ড ফিনালে দ্বিতীয়স্থান দখল করেছেন নেত্রকোণার ফকির চান। ফকির চান নেত্রকোণা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের বড় নন্দুরা গ্রামের নুরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে।

শনিবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সান ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মাছরাঙা টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এই ঝলমলে চতুর্থ আসরটি রাজধানীর অভিজাত হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁওয়ের হলরুমে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এছাড়াও ‘ম্যাজিক বাউলিয়ানা’র চতুর্থ আসরে প্রথম স্থান অর্জন করেন ঢাকার শফিউল বাদশা এবং তৃতীয় হয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অর্ণব ভট্টাচার্য্য। অন্যদিকে সেরা ছ’য়ে ছিলেন জামালপুরের সাইফুল ইসলাম, কুষ্টিয়ার অর্পা খন্দকার ও জয়পুরহাটের ঐশী রাণী।
প্রথম স্থান অর্জনকারী শফিউল বাদশা পেয়েছেন পাঁচ লাখ টাকা। দ্বিতীয় স্থান অধিকারী ফকির চান পেয়েছেন ৩লাখ ও তৃতীয় স্থান অর্জনকারী পেয়েছেন ২ লাখ টাকা।
বাউল ফকির চান জানান, আমার গানের হাতেকরি উপমহাদেশের বিখ্যাত বাউল সাধক উস্তাদ বাউল কিতাব আলীর কাছে। আমার গানে আসা বাবার ইচ্ছায়। তিনি একজন গানের মানুষ। গান পছন্দ করেন। আমার দাদাও গান করতেন। আমি গানের সাথে আছি সুদীর্ঘ ১২ বছর ধরে। আমি আমার এই সাফল্য ও অর্জনকে উৎসর্গ করলাম আমার পিতামাতা, উস্তাদ ও সকল শুভাকাঙ্ক্ষীদের প্রতি বিশেষত যারা শুরু থেকে এই পর্যন্ত আসতে আমাকে শক্তি ও সাহস যুগিয়েছেন। সর্বোপরি আমার গানের সকল শ্রোতা ও নেত্রকোণাবাসীর করকমলে আমি এই সফলতা উৎসর্গ করলাম।
এর আগে দীর্ঘ সাত মাস ধরে চলা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন দেশের ৫০ হাজারের বেশি প্রতিযোগী। তাল-সুর-লয়, উচ্চারণ এবং গায়কি—এই পাঁচ বিষয়ে মার্কিং করে সম্মানিত বিচারকেরা সেরা প্রতিযোগী নির্বাচিত করেন। বিচারক হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন লোকগানের শিল্পী বাউল শফি মণ্ডল, শাহনাজ বেলী ও আরিফ দেওয়ান।
অনুষ্ঠানে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সঙ্গে বাউলগানের সংযোগ আরও দৃঢ় করতে আর্কাইভ হিসেবে “ম্যাজিক বাউলিয়ানায় পরিবেশিত লোকগানের শুদ্ধ সংকলন-১” বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন বিশেষ অতিথি উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা, স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেডের হেড অব অপারেশনস মালিক মোহাম্মদ সাঈদ এবং বইটির গবেষক ও সম্পাদক, বাংলা একাডেমির উপপরিচালক তপন বাগচী। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্কয়ার টয়লেট্রিজ লিমিটেড, মিডিয়াকম, সান কমিউনিকেশনস ও স্কয়ার গ্রুপের অন্য কর্মকর্তারা।