‘রাষ্ট্রপতি গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক’ পেলেন কলমাকান্দার কায়েশ
নেজা ডেস্ক রিপোর্টঃ
সমাজসেবায় অসামান্য অবদান ও জননিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ “প্রেসিডেন্ট গ্রাম প্রতিরক্ষা দল (সেবা) পদক” অর্জন করেছেন নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার মোঃ কায়েশ আহমেদ। এটি তাঁর নিরলস প্রচেষ্টা, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও মানবিক কাজের এক অনন্য স্বীকৃতি।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫তম জাতীয় সমাবেশে তাঁকে এই মর্যাদাপূর্ণ পদক প্রদান করা হয়।
এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, যিনি ১৫৬ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্যকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পদক প্রদান করেন। পরদিন ১৩ ফেব্রুয়ারি, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আব্দুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ আনুষ্ঠানিকভাবে পদকপ্রাপ্তদের মধ্যে নগদ অর্থ তুলে দেন ও পদক পরিয়ে দেন।
মোঃ কায়েশ আহমেদ দীর্ঘদিন ধরে সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন “স্বপ্নপুরী মানবকল্যাণ সংস্থা”, যার মাধ্যমে তিনি অসহায়, দুস্থ ও দরিদ্র মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁর সংস্থাটি খাদ্য সহায়তা, চিকিৎসা সহযোগিতা, শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের মতো বিভিন্ন মানবিক উদ্যোগ পরিচালনা করে আসছে।
এছাড়াও তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আনসার বাহিনীকে সহায়তা, দুর্যোগকালীন ত্রাণ বিতরণ, অসহায় মানুষদের পুনর্বাসন এবং নানান সামাজিক সমস্যা সমাধানে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর উদ্যোগগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো—দুর্যোগকালীন ত্রাণ কার্যক্রম, পথশিশুদের জন্য সহায়তা প্রদান এবং সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা।
এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পাওয়ার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে মোঃ কায়েশ আহমেদ বলেন, “এই স্বীকৃতি শুধু আমার একার নয়, এটি পুরো কলমাকান্দা তথা নেত্রকোণা জেলার মানুষের সম্মান। আমার এই পথচলায় যারা পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। বিশেষ করে আমার সহকর্মী, পরিবার ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “এই পদক আমাকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করবে এবং আমি আগামীতেও সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে যাব। দেশের জন্য, মানুষের জন্য কাজ করাই আমার লক্ষ্য।”
মোঃ কায়েশ আহমেদের এই অর্জন শুধু তাঁর ব্যক্তিগত স্বীকৃতি নয়, এটি নেত্রকোণা জেলার জন্যও গর্বের বিষয়। তাঁর এই সম্মাননা নতুন প্রজন্মকে সমাজসেবামূলক কাজে আগ্রহী করবে এবং দেশের সেবায় উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সমাজসেবায় এই অনন্য অবদান ও রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির মাধ্যমে মোঃ কায়েশ আহমেদ আরও এক ধাপ এগিয়ে গেলেন, যা নিঃসন্দেহে দেশের অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবীদের জন্য অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে বলে ধারণা স্থানীয়দের।