শেরপুর ও নেত্রকোণায় ভয়াবহ বন্যায় মাস্তুল ফাউন্ডেশনের সহায়তা অব্যাহত
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সম্প্রতি শেরপুর ও নেত্রকোনার বেশ কিছু অঞ্চল স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়ে মানবিক সংকটে পড়েছে। শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতি, এবং নকলা উপজেলায় বন্যার পানি ঢুকে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
পাশাপাশি নেত্রকোনার কলমাকান্দা ও দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকায়ও বন্যার ভয়াবহতা লক্ষ্য করা গেছে। বন্যার কারণে এসব অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানি, খাবার, এবং চিকিৎসা সেবার অভাবে বানভাসি মানুষেরা চরম দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়েছে মাস্তুল ফাউন্ডেশন। বন্যার শুরু থেকেই সংস্থাটি বিভিন্ন ধাপে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।
সর্বশেষ ১৬ ও ১৭ অক্টোবর মাস্তুল ফাউন্ডেশনের অপারেশন ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আশরাফুল তালুকদারের তত্ত্বাবধানে নেত্রকোনার কলমাকান্দা এবং শেরপুরের নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলায় কয়েক হাজার বানভাসি পরিবারের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী ও ওষুধ বিতরণ করা হয়।
ত্রাণ বিতরণের সময় আশরাফুল তালুকদার বানভাসি মানুষের জন্য তার দায়িত্ব পালন করতে পেরে গর্বিত বোধ করেন এবং বলেন, “আমাদের এই সহায়তা ক্ষতিগ্রস্তদের জীবনে সামান্য হলেও স্বস্তি এনে দিতে পেরেছে, যা আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করেছে। ভবিষ্যতেও আমরা অসহায় মানুষের পাশে থাকবো এবং তাদের সাহায্যে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেবো।”
ত্রাণ কার্যক্রমের আওতায় দুর্গত এলাকায় খাদ্যসামগ্রী, বিশুদ্ধ পানি, ওষুধ, এবং অন্যান্য জরুরি সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। মাস্তুল ফাউন্ডেশনের এই কার্যক্রমে স্বেচ্ছাসেবক দল এবং স্থানীয় ভলান্টিয়াররা সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়। পাশাপাশি স্বপ্নপুরী মানবকল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা মোঃ কায়েশ আহমেদ এই ত্রাণ কার্যক্রমে সহযোগিতা করেন, যা সংস্থাটির মানবিক সহায়তামূলক প্রচেষ্টাকে আরও জোরদার করে।
স্থানীয় জনগণ মাস্তুল ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে যে, এমন মানবিক সহায়তা তাদের বেঁচে থাকার আশা জাগিয়ে তুলেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা জানান, ভবিষ্যতেও মাস্তুল ফাউন্ডেশন যেকোনো দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে।