সংসদ নির্বাচনে ভোট কর্মকর্তার তালিকা ই-মেইল করে বিপাকে মোহনগঞ্জের শিক্ষক
নিজস্ব প্রতিবেদঃ
নেত্রকাণার মোহনগঞ্জে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার (প্রিসাইডিং- পোলিং) কোন কেদ্রের দায়িত্ব পালন করবেন সেই তালিকা তৈরি করার অভিযাগ উঠেছে একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে। তিনি মোহনগঞ্জ উপজলার মানশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মু. রানা আসিফের বিরুদ্ধে।
ওই শিক্ষক ভোট কেদ্রের দায়িত্ব পালনকারীদর তালিকা তৈরি করে ওই তালিকা উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে ই- মেইলে পাঠান। পরে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা বরাবর চিঠি দিয়েছেন । সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা এ ব্যাপার প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণর জন্য বুধবার উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে চিঠি পাঠান।
জানা গেছে, মোহনগঞ্জ উপজলার মানশ্রী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়র প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) মু. রানা আসিফ গত ১৩/১৫ ডিসেম্বরে মধ্যে কোন একদিন উপজেলার কোন কেদ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করবেন নিজের পছন্দমত সেই তালিকা তৈরি করে নির্বাচন কর্মকর্তাকে ই- মেইল করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়।
শিক্ষকের এধরণের কাজকর্ম নিয়মবহির্ভূত ও বেআইনি উল্লেখ করে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চিঠি দেন উপজলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ. জহিরুল হক।
মোহনগঞ্জ উপজলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ. জহিরুল হক, তালিকা তৈরি করে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঘাটাঘাটি করতে চাইনা। এ ব্যাপার প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণর জন্য মোহনগঞ্জ উপজলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার বরাবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মোসা. হাফিজা জেসমিন বলন, নির্বাচন দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদর তালিকা তৈরির জন্য ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজলা নির্বাচন কর্মকর্তা আমাকে চিঠি দিয়েছেন। চিঠি প্রাপ্ত হয়ে এ ব্যাপার প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসারের কাছ চিঠিটি পাঠানা হয়েছে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল হোসেন এর সাথে মোবাইল কথা হলে তিনি বলেন , ইউএনও স্যারের চিঠি পেয়ে গতকাল বুধবার সংশ্লিষ্ট শিক্ষককে শোকজ নোটিশ দিয়েছি । ১০ কর্ম দিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার জন্য সময় উল্লেখ করে চিঠি দিয়েছি ।
জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে ফেসবুকে রমজানের ছুটি সংক্রান্ত একটি পোস্ট করে উক্ত শিক্ষক সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন। শ্যামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে উপবৃত্তির জটিলতা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা সম্মুখীন হয়েছিলেন। সম্প্রতি শিক্ষা কমিটির সদস্য নিয়ে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।