মজিবুর রহমানঃ
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় তালাক দেওয়ায় হাফছা আক্তার(৩৫) এর গায়ে এসিড নিক্ষেপ করে ঝলসে ঘটনায় স্বামী হুমায়ূন কবির বাকির(৩৮) জেলা হাজতে পাঠিয়েছে আদালত।

মঙ্গলবার ( ৯জুলাই) আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক আসামী হুমায়ুন কবির বাকি’র নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।

জানা গেছে,প্রায় ১৭ পূর্বে ব্রাম্মনজাত গ্রামের ফজলুর রহমানের কন্যা ও বাদী হাফসা আক্তারের সঙ্গে মাসকা ইউপির মাসকা গ্রামের মৃত জুবেদ আলীর ছেলে হুমায়ুন কবির বাকির পারিবারিক সম্মিততে বিয়ে হয়েছিল। তাদের দাম্পত্যজীবনের কোন সন্তানাদি নেই।

এনিয়ে দাম্পত্যকলহ প্রায় সময় লেগে থাকতো। যেকারণে রাগে অপমানে হাফসা তার স্বামী হুমায়ুনকে গত ৪ জুলাই কাজী অফিসে গিয়ে তালাকনামা রেজিষ্ট্ররী করেন। এই ঘটনার পরদিন (৫ জুলাই) রাত পৌণে ৮ দিকে হাফসা এসিড নিক্ষেপের শিকার হন। আহত হাফসা শুরু থেকেই এরজন্যে স্বামী হুমায়ুনকে দায়ী করেন।

শনিবার (৬জুলাই) রাতে আহত হাফসা আক্তার নিজে বাদী হয়ে স্বামী হুমায়ুন কবির বাকির বিরুদ্ধে কেন্দুুয়া থানায় মামলাটি রুজু করেছেন।

হত্যার উদ্দেশ্যে দহনকারী ও ক্ষয়কারী বিষাক্ত পদার্থ দ্বারা মুখ মন্ডল ও শরীরের অংশ বিকৃত বা নষ্ট করার অপরাধের (৪(১)/৪(২) (খ) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০)) মামলাটি রুজু হয়। আসামী হুমায়ুন কবির বাকি পুলিশের গ্রেপ্তার এড়িয়ে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) নেত্রকোণা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন প্রার্থনা করেন। আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

হুমায়ুন কবির বাকিকে জেলহাজতে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দুুয়া থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ও মামলা তদন্ত কর্মকর্তা ফরিদ আহমদ জানান, তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে।