স্বপ্ন পুরন হলনা খামারীর : এক সকালেই শেষ

প্রকাশিত: ২:৫৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৩
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
এ কেমন শত্রুতা? নেত্রকোণার মদনে এক খামারের ১ হাজার ৪শ হাসেরঁ মৃত্যু হয়েছে। সোমবার ভোরে উপজেলার শাহাপুর পূর্বপাড়া গ্রামে এমন ঘটনা ঘটেছে।
শাহাপুর গ্রামের বুলবুল ইসলাম ও আরজু মিয়া প্রাণীসম্পদ অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে একটি হাঁসের খামার গড়ে তুলেন। খামার করে স্বাবলম্বী হওয়ার স্বপ্নও দেখছিলেন তারা। কিন্তু এক সকালেই খামারীদের স্বপ্ন বিলীন হয়ে গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, কৃষক বুলবুল ইসলাম ও আরজু মিয়া বাড়ির সামনে এক মাস আগে ১ হাজার ৫শ হাঁসের বাচ্চা নিয়ে একটি খামার গড়েন। হাওরে আমন ধান রোপন করায় তাদের নিজ বাড়ির সামনে জালের বেড়া দিয়ে ফাঁকা জায়গায় হাঁস গুলো লালন-পালন শুরু করেন। সোমবার ভোরে প্রতিদিনের ন্যায় হাঁস গুলো খাদ্য খেয়ে মরতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ১ হাজার ৪শ হাঁসই মারা যায়।
হাঁস খামারী আরজু মিয়া বলেন, গ্রামে আমাদের কোন শত্রু নাই। কয়েক দিন আগে প্রতিবেশী মাদক ব্যবসায়ী নূর আহম্মদ ও রবিউল খামারের পাশে মোটরসাইকেল রাখলে মোটরসাইকেলটি পড়ে যায়। এতে তারা আমার ভাতিজাকে মারপিঠ করে। আমরা গাড়ি রাখতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার ভোরে বিষ মিশ্রিত খাবার দিয়ে আমাদের সব হাঁস মেরে ফেলেছে। ঘটনার পর নূর আহম্মদ ও রবিউল এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করবো।
নূর আহম্মদের বোন সুফিয়া আক্তার বলেন, আমার ভাই ৪/৫ দিন ধরে বাড়িতে নাই। আরজু ও বুলবুল মিয়ার হাঁস মরে যাওয়ায় আমার ভাইকে দোষারোপ করছে। মারা যাওয়া হাঁস দেখতে গেলে আমার বাবাকে মারপিঠ করে তারা।
উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা তায়রান ইকবাল জানান, আরজু মিয়া ও বুলবুল ইসলাম আমার অফিস থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে হাঁসের খামার গড়েছেন। তাদের খামারের ১ হাজার ৪শ হাঁস মরার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। মারা যাওয়া হাঁসের সেম্পল পরীক্ষা করা জন্য ঢাকায় ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।
মদন থানার ওসি মুহাম্মদ তাওহীদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খালিয়াজুরী) সার্কেল স্যারকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছি। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।