হাদিছ মাষ্টারের পদত্যাগ দাবিতে সমাজ স্কুলে শিক্ষার্থীদের তালা ও বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ৮:৪৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২৫

মোঃ কামরুল ইসলাম রতনঃ
শিক্ষকের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে এক দফা একদাবীতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে শিক্ষর্থীরা।

সহকারী শিক্ষক মোহাম্মদ হাদিছ উদ্দিনের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে আজ (০২ ফেব্রুয়ারি) রোববার দুপুরে স্কুলে তালা ঝুলিয়ে মোঃ হাদিছ উদ্দিনের অপসারণের দাবিতে “দফা এক একদাবী’ স্লোগানে বিদ্যালয়ের সামনের মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী রাহমনি, পিতু, খুশি, নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী চৈত্রী, দশম শ্রেণীর ছাত্র আরিফ, মোহাম্মদ মাহি, শ্রাবণ হ উপস্থিত বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীরা।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুয়েল আহমেদ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ভিডিও অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।

উল্লেখ্য, অনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে নেত্রকোণার মোহনগঞ্জ উপজেলার ৫ নং সমাজ সহিলদেও ইউনিয়নের সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাদিছ মিয়া অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় লোকজন ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাদিছ মিয়া পরীক্ষায় পাস করিয়ে দেওয়ার কথা বলে এক ছাত্রীকে মোবাইল ফোনে কুপ্রস্তাব দেন।

এমন একটি কল রেকর্ড ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এতে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা ক্ষুব্ধ হয়ে শিক্ষকের অপসারণের দাবিতে ( ২৬ জানুয়ারি) বিদ্যালয়ের মাঠে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। এ সময় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ করা হয়।

শিক্ষার্থীরা জানান, সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ মিয়া শিক্ষার্থীদেরকে তার কাছে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করেন। অন্যথায় ফেল করানোর হুমকি দেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে চলে গেছে। এছাড়া ছাত্রীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে কুপ্রস্তাব দেন।

দ্রুত ওই শিক্ষকের অপসারণ না করা হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনকে বিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন জানান, ‘এসব ষড়যন্ত্র। অডিও কল রেকর্ডটিকে এআই দিয়ে এডিট করে তৈরি করা হয়েছে।’

ভুক্তভোগী ছাত্রী বলেন, ‘কল রেকর্ডটি এডিট নয়, এটি সত্যি।

শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনের সাথে পরীক্ষার বিষয় নিয়ে কথা বললে তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। কল রেকর্ডটি কিছুদিন আগের। ওই ঘটনায় আমি স্কুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম। কিন্তু কোন বিচার পাইনি।’

এ ব্যাপারে মোহনগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের অ্যাডহক কমিটির সভাপতি জুয়েল আহমেদ জানান, ‘আমি জেলায় মিটিং এ আছি। বিষয়টি খোঁজ নেওয়ার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে জানানো হয়েছে। এ ব্যাপারে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’