১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক এর বাণী

১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস

প্রকাশিত: ৩:১৩ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৬, ২০২৩

বাণী

আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও রক্তক্ষয়ী যুদ্ধশেষে ১৯৭১ সালের এই দিনে আমরা বহু প্রতীক্ষিত বিজয় অর্জন করি। বিজয়ের এই দিনে আমি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের, মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের ও দু’লক্ষ মা-বোনদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা। আমি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাসহ মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, যুদ্ধাহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। মহান বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি সকলকে বিজয়ের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।

স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। এ অর্জন আমাদের এনে দিয়েছে একটি সার্বভৌম দেশ, স্বাধীন জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান, নিজস্ব মানচিত্র ও লাল-সবুজ পতাকা। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধাপে ধাপে আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্যদিয়ে বাঙালি জাতিকে মুক্তিসংগ্রামের জন্য প্রস্তুত করেন। তাঁরই নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় পাকহানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে দীর্ঘ নয়মাসের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয়।

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সাথে ১১ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত নেত্রকোণা জেলায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবময় ইতিহাস। সারা দেশের ন্যায় নেত্রকোণার মানুষও স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সশস্ত্র যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছেন, জীবন বাজি রেখেছেন, আত্মাহুতি দিয়েছেন। ফলে নেত্রকোণা জেলা পাকহানাদার মুক্ত জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ১৯৭১ সালের ৯ ডিসেম্বরে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বুকে ধারণ করে নেত্রকোণাবাসী বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরে আত্মনিয়োগ করবে- এই হোক মহান বিজয় দিবসে আমাদের অঙ্গীকার। জয় বাংলা, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।


শাহেদ পারভেজ
জেলা প্রশাসক, নেত্রকোণা