২১ বছর যাবত কলাগাছের শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদন

প্রকাশিত: ১০:৫২ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৫

জাকির আহমেদ:
এ সব লিখলে কি হবে ? সরকার কি শোনবে ? ২১ বছর যাবত আমরা কলা গাছ,বাশঁ দিয়ে তৈরি করে শহীদ মিনারে শহীদদের শ্রদ্ধা জানাই। এভাবেই আক্ষেপ করে বলছিলেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মোঃ লুৎফুর রহমান।

নেত্রকোনার মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়নের বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল হাই স্কুল। হাওরাঞ্চল এলাকায় অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই কোন শহীদ মিনার। ২০০৪ সালে এ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১৪ সালে এমপিও পায়। হাওরাঞ্চলের এ বিদ্যালয়ে বর্তমানে ৩৫০ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

আর্ন্তজাতিক মাতৃভাষা দিবসে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবসটি পালন করা হয়।

বাগজান কুঠুরিকোনা মডেল উচ্ছ বিদ্যালয়ে শুক্রবার সকালে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে কোনো শহীদ মিনার নেই।
৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী শাহানাজ, লামিয়া, রিয়া মনি – শহীদ মিনার নেই তাতে কী ? তাই বলে কী ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবো না ? আমরা প্রতি বছর এভাবে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে সেখানে ফুল দেই ।
ওই বিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক আনোয়ার হোসেন বলেন, টাকার অভাবে প্রতিষ্ঠানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণ করতে পারিনি। বিষয়টি নিয়ে কয়েক বার আবেদন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে কোন বরাদ্দ পায়নি। তাই একুশে ফেব্রুয়ারী এলে স্কুলের মাঠে অস্থায়ী শহীদ মিনার বানিয়ে আমরা শ্রদ্ধা নিবেদন করি।

বিদ্যালয়ের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, শহীদ মিনার নেই। তাই একুশে ফেব্রুয়ারীর আগের দিন বিদ্যালয়ের মাঠে কলাগাছের শহীদ মিনার বানানো হয়, তাতে কাগজ মুড়িয়ে সুন্দর করা হয়, শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শফিকুল বারী জানান, যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই সে সকল প্রধান শিক্ষককে বলেছি ইউএনও স্যারের বরাবর একটি করে আবেদন দেয়ার জন্য।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অহনা জিন্নাত বলেন, যে সকল বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নেই তাদের তালিকা চেয়েছি। এবারেই বিদ্যালয় গুলোতে শহীদ মিনার তৈরি করে দেয়া হবে।