আশরাফুল আলম এর এক গুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত: ১০:৩১ পূর্বাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৩


জননেত্রী

বীরের ঘরে বীর জন্মে দিনের বুকে আলো।
রাতের বুকে চাঁদ হাসে বলে কে আছে কালো।
দেশ রত্ন শেখ হাসিনা মোদের আশার আলো।
মা হারালো বাবা হারালো কলিজার শেখ রাসেল।
কামাল বুঝি বলতো হেঁসে আমার হাসু আপু।
নিষ্ঠুর হত্যা দেখে বিশ্বও কেঁদেছিল এক সুরে।
তবুও হাল ছাড়েনি বাবার পর ধরেছে তরীর বৈঠা।
দুর্যোগে ঘুর্ণি পাকে থেকেছে অবিচল গণ মানুষের নেতা।
বিশ্বের মুখে শুনি আজ এক জয় ধ্বনি ভাই, মানবতার মা।
শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নেওয়া শিক্ষার মা উপাধি পাওয়া।
তুমি শেখ হাসিনা।

তুমি উদ্দামে উল্লাসে কাঁপা।
সাহসী নারী বীর কন্যা প্রীতিলতা,
রোকেয়া,সুফিয়া কামাল।
বঙ্গবন্ধু দিল দেশ।
তুমি দিলে উন্নয়ন।
১৮ কোটি জনতার তুমি জননী।
তুমি উচ্ছ্বাস।
তুমি চেতনা।
তুমি শক্তি।
সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে।
শক্ত হয়ে দাঁড়িয়েছ বলে।
দেশ আজ টায় নিল বিশ্বের বুকে।
এখন শুধু অপেক্ষার ক্ষণ গননা শুরু।
মিলে মিশে গড়বো হেসে সোনার বাংলা “বঙ্গবন্ধু “।


সেপ্টেম্বর অন ঢাকার রোড

ইচ্ছে ছিল বলবো তোমায়।
পাশে বসে অনেক কথা।
একটি ধ্বনি একটি ভাষণ।
আগুন ধরে ৭ কোটি প্রাণ।
তীব্র নেশায় ছুটলো মন।
রেসকোর্সের ঐ ময়দানে।
সবুজ ক্যাপে ভাসছে নগর।
উত্তাল সেপ্টেম্বর অন ঢাকার রোড।
সঁপেছি প্রাণ জনতার ভীড়ে।
স্টিমারের বেগে দীপ্ত পায়ে।
দমকা হাওয়া ঝড়ের বেশে।
থমকে দাঁড়ায় গুলিস্তানে।
ছাত্র জনতা কৃষক মজুর।
মুখরিত জয় বাংলা স্লোগান।
বাসের গ্লাচে ঝুলছে ব্যানার।
শোকাবহ আগস্ট তুমি।
স্বজন হারানো ব্যথার দান।
শিউরে উঠে দুলন চাপা।
পুণ্য মাটির ললাট ছুঁয়ে।
কই হারালাম স্বজন আমার।
গন্ধ শুকি মানচিত্রে।
কুনির হাত শুকাই নি।
অ্যান্টিসেপটিকেও মুছবে না ক্ষত।

যান জটের মুখে পড়ে।
বুবু হয়নি তোমায় দেখা।
রাজধানীর বুকে মনে হচ্ছিল।
আমিই এক বোকা।
জানিনা এই উদ্যত হাত।
আবার কখন মিছিলে যাবে।
শান্তির পতাকা তলে।
জড়োসড়ো সংলাপ ।।


মুসাফির

শুধু জায়গা টা আজ ভিন্ন।
মুখ খুলকেই মুক্তি আসতো।
রাজপথ হতো জনতার ঢ’লে পরিপূর্ণ।
আমি বিদ্রোহী হতে পারি নাই।
এটাই বুঝি দুষ।
যদি লজ্জা আজ পকেটে না রেখে।
ফাঁস করিতাম তোমাদের যত কথা।
তবে তুমি নও ৬৮ হাজার গ্রাম হতো আমার।
সে অনেক আগে।
মুসাফির বেশে ছাড়িলাম গৃহ।
গ্রামের মায়া জননীর কাছে রেখে।
মায়ের চোখ নানুর আর্তনাদে জলে দিবা রাত আখি।
ফুফি বলিত ভাই পুত তুমি ভালো থেকো সব খানে।
প্রত্যুষে রাজপথ ডাকে উঠনা সিতান থেকে।
যেতে পারি না মায়ের বারন বাবার কষ্ট দেখে।
বোনের দাবি ভাই কেবল আমার স্বাধীনতা।

নানা বলতেন মাসুম একদিন বড় অফিসার হবে।
মায়ের আকুতি সম্মান ধরে রেখো জনম ভরি।
শার্ট চিড়িয়া বুক দেখিও না দোহাই বাপ আমার।
তুমি থমকে আসা ঝড়ের বেগে অতিথি পাখি না।
তুমি আমার উরশের প্রথম সন্তান আশরাফুল মাখলুকাত।
তোমার নানা মৌলবি ছিলেন কুরআন হাদীসের বাণী ছুড়তেন।
শিশু যৌবক নর নারী সনাতন ধর্মাবলম্বীর সম্মুখে।
সেই মান রাখিও বাবা করি আজ শত বরদান।
তুমি হাসবে হাঁসাবে ভুবণ রাসুলের সত্যর বাণীতে।


শুদ্ধ সমাজ

আচ্ছা আমি অশুদ্ধ বলে।
আমাকে কি শুদ্ধ করা যায় না।
আমি পথের ধারে রাত কাটাই বলে।
আমাকে কি মানুষ বানানো যায় না।
আমি গরীব বলে গুম হওয়া পিতার খুঁজ।
বোনের দর্শনের মামলা নেওয়া যায় না।
পাথরকেও তো মানুষ ঘষে মেজে।
হাতের আংটিই রাজত্ব দেয়।
জননী যদি পারে রোজ।
শিখাতে অ আ ক খ বর্ণ মালা।
সাংবাদিক যদি শিখাই উচ্চারণ।
আলেমে দ্বীন নীতি কথা।
তোমরা কেন গালি দাও ভাই।
আমি অপরাধী বোকা।

আমি বলছি এক যুগ ধরে।
আমাকে একটি বার সুযোগ দিন।
গ্রাম ভেঙে শহর করছো।
কাউকে তোমরা মানুষ কর নি।
উচকে পড়া মেধাবী বিদ্যা পীঠ।
মনুষ্যত্ব কি তা শিখনী।
আমি বলছি এক যুগ ধরে।
চিৎকারে আর আর্তনাদে।
ভেসে আসা বানের সাথে।
তীব্র শ্বাস আর গর্জনে।
প্রভাতে কিনবা বেলায়।
বলেছি অন্ধের যষ্টি হবো।
পাতা কুড়ানোর ভাই।
মেধাবীদের দান করিব বই।
নারীর হাতে তুলে দিব খাতা।
হিজাব পর্দার বড়াই।
চাহি না কিছু এই ধরা মহীতে।
লোভ লালসার কাস কামড়া।
আমি চাই,
আজকে জন্ম নেওয়া শিশুর জন্য।
রেখে যান আগামীর শুদ্ধ একটা সমাজ।