কবি আর. এম. কারিমুল্লাহ এর একগুচ্ছ কবিতা

প্রকাশিত: ১২:৪৯ পূর্বাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৮, ২০২৪

কবি আর. এম. কারিমুল্লাহ এর একগুচ্ছ কবিতা


তোমাকে চিনতে পারলাম

(প্রিয় বন্ধু কলিজার টুকরা – রিজুওয়ান কে নিয়ে রচিত)

তোমার সাথে আমার
মধ্যাকর্ষণের টানে
হয়েছিল এক মধুর সম্পর্ক,

তুমি সেটাকে মিথ্যা
মনে করিয়ে চলে গেলে
এক মেয়ে অভিশপ্ত পথের ধারে ।

মেয়ে টাকে করলে তুমি
আপন আর নিজের একা,
তবুও কিছু বলার সাহস হল না।

শুধু অবাক হয়ে দেখলাম
তুমি কতটা নিষ্ঠুর
এই পৃথিবীতে এখন আমি একা,

বার বার বলেছি অন্যের হাত দিয়ে
তোমার সাথে আমার জান্নাতের সম্পর্ক
ভুল পথে গেলেই জাহান্নাম।

পাঁচ বছর নয় – এক মাস ও নয়
তোমার সেই রূপ আমি
একদিনেই দেখতে পেলাম।

এখন আমি উঁচু জায়গায় দাঁড়িয়ে
ঘোষণা করছি শুনো
তোমাকে এতদিনে চিনতে পারলাম।


বন্ধু

বছরের পর বছর গুলো
কষ্টে চলে যাই,

এক বছর পর -পর আমি
জান্নাতি সাথিদের খুঁজে পাই।

একটা নয় – দুই টা নয়
তিন – তিনজন ছেলে,

আমার সাথে যাবে
জান্নাত আর জাহান্নামে হেলে।

অনেক দিন ধরে আমি
বুঝিয়েছি আলামত,

অনেক কষ্টে পেয়েছিলাম
আল্লাহর নেয়ামত।

তাড়িয়ে দিয়েছিল আমায়
মিথ্যা মনে করে ,

বিশ্বাস করতে চাইলো
যদিও অনেক পরে।


মেঘ

জমে জমে মেঘ আকাশ হয়েছে ভারাক্রান্ত
বইছে হাওয়া সাথে তার চাপা গর্জন ,
কালো মেঘ আবারো চাই ভাসতে তুলোর মত,
হালকা করতে চাই তার মনকে !
ও আর পারে না কাঁদতে গুমরে গুমরে
মন খারাপ গুলো সেই কবে থেকে আছে জমে ,
না, এবার মেঘ কাঁদবে
মুক্তি হবে সেই দহন থেকে!

এক পশলা বৃষ্টি
আকাশে রোদ উঠেছে মৃদু;
খানিক বোঝা কমলো এবার
যদিও মন খারাপের বোঝা জমে আছে এখনো
আর না পারিলে সইতে
আবার সে পড়বে যে ঝরে !


নেতা

আমাদের ছোট গ্রামে
বড় বড় নেতা,
উপদেশ দিয়ে বেড়ায়
জ্ঞানে ভরা মাথা!
বিপদে পায়না খুঁজে
কাজে ঠন ঠন,
অসময়ে মাছির মত
করে ভন ভন।
নিজেকে পন্ডিত ভাবে
ফাঁক পেলে ধোঁকা,
সুযোগ বুঝে যদি পায়
সহজ সরল বোকা!
কাজ কর্ম নেয় তাঁর
তবু কাপায় মাঠ,
সব সময় সাদা লুঙ্গি
গায়ে পড়ে শার্ট


নেশায় পেয়েছে

আমাকে পেয়েছে নেশায়
কবিতা লেখায়
তুমি কী সেটা জানো?
সারা রাত জেগে
পায়চারি করছি বেগে
তোমার কথায় ।

কত কিছু লেখবো বলে
ভেবে রেখেছি ছন্দের তলে,
আজ তুমি কহো
রোজ তুমি রহো
আমার পাশে।

খুশি তে আজ আত্মহারা
তোমায় নিয়ে করছি খেলা
তখন রাত্রি দুপুর বেলা!
আমাকে পেয়েছে নেশায়
কবিতা লেখায়
তোমায় নিয়ে

কবিঃ মোহাম্মদ কারিমুল্লা
থানা- হরিশচন্দ্রপুর, জেলা- মালদা পিন, পশ্চিমবঙ্গ, ভারত।